ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ভ্যাট ব্যবস্থা বিলুপ্তির দাবি এবি পার্টির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
‘কোনো অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শ না করে গত সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও শুল্ক বাড়ানোর সদ্ধিান্তকে অনিবার্য এবং অদূরদর্শী' বলে মন্তব্য করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।
একই সময়ে টিসিবির ট্রাকে পরিচালিত নম্নি আয়ের মানুষের
জন্য কম দামে পণ্য বিক্রি বন্ধ করার সদ্ধিান্তকেও আত্মঘাতী উলে্লখ করে দলটি। সরকারের
উদ্দেশে নেতারা বলেন, ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে ভ্যাট ব্যবস্থা বিলুপ্ত করুন। সেবা ও পণ্যের
ওপর আরোপিত কর অবিলম্ব প্রত্যাহার করতে হবে।
সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
এসব কথা বলেন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আমার এবি পার্টির সাধারণ
সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এর
চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর
(অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লা আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয়
প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল ও অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, এবি পার্টি মনে করে, জনগণকে
কষ্ট দিয়ে বাজেটের ঘাটতি মেটানো, আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের ঋণ পাওয়ার
জন্য সরকারের ব্যয় সংকোচন করা বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের সাইজ কমানো, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিলাসী সুযোগ-সুবিধা কর্তন, অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল বা কমানোর
উদ্যোগ নেওয়া দরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে তার বাত্সরিক খরচ মেটানোর জন্য শুধু প্রত্যক্ষ
করের ওপর জোর দেওয়ার তাগিদ দেন এবি পার্টির নেতারা। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আয় বাড়ানোর
জন্য প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্র ও পরিধি বাড়ানো জরুরি।
এমতাবস্থায় আমরা মনে করি, ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ভ্যাট
ব্যবস্থা পুরোপুরি বিলুপ্ত করে আয়-উপার্জন-মুনাফাভিত্তিক একক প্রত্যক্ষ কর নীতিমালা
ও ব্যবস্থাপনা তৈরি করা দরকার। কম সামর্থযের নাগরিকদের ভোগানি্তকে পুঁজি করে বাজেট
বাস্তবায়ন করার আয়োজন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফের সমাজ কায়েমের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে
সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ভ্যাট বাতিলের দাবি জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগের লুটেরার মতো আচরণ আপনারা দেশের গরিব মানুষের
সঙ্গে করবেন না। যেভাবে দিনকে দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে, তার ওপর আবার
নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। তাতে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।