বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারকে মুক্তি দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সেই আন্দোলনে টঙ্গী থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল অচল করে দেওয়া হবে। নূরুল ইসলাম সরকারকে মিথ্যা মামলায় আসামি করে দীর্ঘ ২০বছর যাবত কারাবন্দি রেখে তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নূরুল ইসলাম সরকারের কিছু হলে টঙ্গী তথা গাজীপুরবাসী মেনে নেবে না।

শনিবার দুপুরে টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমি অ্যান্ড কলেজের সামনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যার ঘটনাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।

আওয়ামী লীগের নেতাদের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা থেকে এমপি-মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে পালিয়েছে। তারা এখন কোথায়? তাদেরকে কেউ স্মরণ করে না। কিন্তু মিথ্যা মামলায় নূরুল ইসলাম সরকার যদি জেলে বসে মরেও যায়, তাহলেও গাজীপুরের মানুষ তাকে ১০০ বছর মনে রাখবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারারুদ্ধ নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে বিএনপি নেতা সরকার শাহনূর ইসলাম রনি।

টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক বসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রমিকদল কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম খান কালা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলাম কিরণ, আজিজুল হক রাজু মাস্টার, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভাট, আইয়ুব আলী, নাজমুল হোসেন মন্ডল, সেলিম কাজল, রাতুল আহমেদ ভূঁইয়া, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলী আহমেদ টুকু, সাইফুল আক্তার প্রমুখ।

এসময় নূরুল ইসলাম সরকারের মুক্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ উত্তাল জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা অবরোধ করে মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী লেনে যান চলাচল স্থবির হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন মহাসড়কে সাধারণ যাত্রীরা।

সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সফিউদ্দিন রোড, হোসেন মার্কেটসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণস্থান প্রদক্ষিণ শেষে এরশাদনগর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।