গণঅধিকার পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, জুলাই হত্যা মামলার আসামি উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসিকে পালাতে সাহায্য করেছে; তিনি পালিয়ে যাননি।  বরং হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যরা তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছে। ওসি পালানোর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের বংশাল থানার নবগঠিত কমিটির ঘোষণা উপলক্ষে আনন্দ মিছিল শেষে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

আবু হানিফ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হতো না। সেই ১৮ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলো তরুণরা, একইভাবে ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বে ছিল তরুণরা। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে তরুণরা বড় একটা অংশ রাজনীতি বিমুখ। তরুণ শিক্ষিত মানুষদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তারাই পারে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে। এই তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের নব্য দখলদারদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, ২৪ সালে ছাত্র-জনতা শুধু ভোটের জন্য জীবন দেয়নি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য জীবন দিয়েছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য যত সময় লাগে; আমরা সেই সময় দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ জনগণ মেনে নিবে না। যদিও একটা রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে বলব, আপনারা জনগণের পালস বুঝার চেষ্টা করুন, জনগণ কী চায়। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারতকে বুঝতে হবে তাদের নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই; সুতরাং বাংলাদেশে আপনাদের দাদাগিরি আর চলবে না।

এতে অংশ নিয়ে এডভোকেট নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্ধেক নারী ভোটার। সুতরাং গণঅধিকার পরিষদ ও ভিপি নুর নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে মর্যাদার আসনে দেখতে চায়; এজন্য বংশাল থানা কমিটির আহ্বায়ক পদ এডভোকেট সীমাকে উপহার দিয়েছে। আগামীতে নারী-পুরুষ একসাথে কাজ করার মধ্যে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে ক্ষমতায়ন করে এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করবো ইনশাআল্লাহ’।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বংশাল থানার আহবায়ক অ্যাডভোকেট লতিফুন্নেসা সীমা সদস্য সচিব মো. জাহিদ হাসান, কদমতলী থানার সভাপতি বশির আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা ফারুক, চান মিয়া প্রমুখ।