Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘যারা ফ্যাসীবাদী ভাষায় কথা বলবেন তাদের পরিণতিও আওয়ামী ফ্যাসীবাদের মতো হবে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৫ পিএম

‘যারা ফ্যাসীবাদী ভাষায় কথা বলবেন তাদের পরিণতিও আওয়ামী ফ্যাসীবাদের মতো হবে’

যারা ফ্যাসীবাদী ভাষায় কথা বলবেন তাদের পরিণতিও আওয়ামী ফ্যাসীবাদের মতো হবে বলে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

রোববার বিকাল চারটায় খিলগাঁও (মালিবাগ) কমিউনিটি সেন্টারে রামপুরা দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। থানা আমির আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি খালেদ সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল মালেক পাটোয়ারী, আব্দুল জলিল ও সাবেক ছাত্রনেতা নিয়াজ মাখদুম শিবলী প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি তৈরি করা রাজনীতিকদের দায়িত্ব। স্বাধীনতার পর দেশে বিভেদের রাজনীতির চর্চা শুরু হয়েছে। একশ্রেণির রাজনীতিক নিজেদের অপরাধ-অপকর্ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও লুটপাটকে ঢেকে রাখার জন্যই জাতিকে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করে রেখেছে। মূলত তারাই দেশের প্রচলিত রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও অস্থির করে রেখেছে। কিন্তু দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতা তাদের এ অপরাজনীতি আর চলতে দেবে না। তারা অতীত বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে জনগণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তামাশাও দেখবে না। যারা এখনো জনগণকে বোকা ভাবেন তাদের পরিণতি স্বৈরাচারের চেয়ে ভয়াবহ হবে। তিনি সকলকে নেতিবাচক বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রবর্তনের আহবান জানান।

তিনি বলেন, অবাধ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই আমাদের স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর আমাদের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকলেও গণতন্ত্রের নামে তামাশা হয়েছে। ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নৈশভোটের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে। তাই আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সময়ের বড় দাবি। তাই দেশের প্রচলিত নির্বাচনকে সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণপ্রতিনিধিত্বমূলক করার জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে। তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে প্রয়োজনে গণভোট অনুষ্ঠানের আহবান জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম