বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বাংলাদেশের সংবিধানকে ‘বাহাত্তরের বিতর্কিত’ এবং ‘গোলামী দাসখত সংবিধান’ আখ্যা দিয়ে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের কিছু দিনের মধ্যেই বাহাত্তরের বিতর্কিত গোলামী দাসখত ভারতের আধিপত্যবাদের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে রচিত বিতর্কিত সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হাইজ্যাক করা হয়েছে। ঠিক একই কায়দায় ২৪ সালের মহান বিপ্লবকেও হাইজ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতে মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মাগুরা জেলা শাখা আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে লড়াই, ছিল মানুষের মৌলিক নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। সেই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ইসলামের কোনো বিরোধ ছিল না। এদেশ থেকে ইসলাম এবং ইসলামী রাজনীতির নিষিদ্ধ করবার কিছু ছিল না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেউ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথাও বলেনি। অথচ এ দেশের মানুষের হাজার বছরের ইচ্ছা এবং অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধের সংবিধান হচ্ছে বাহাত্তরের সংবিধান। ওই সংবিধানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের চিন্তা এবং চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।

বাহাত্তরের বিতর্কিত সংবিধানের কারণেই হাসিনার ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছে। ৫০ বছর ধরে ইসলাম এবং ইসলামপন্থিদের দমন করার ষড়যন্ত্র করা গেছে। তাই আগস্ট বিপ্লবের পর আর বাহাত্তরের মুজিবীয় সংবিধান চলতে পারে না।

গণসমাবেশে খেলাফত মজলিসের স্থানীয় নেতারা ছাড়াও মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির এমপি বাকের বক্তব্য রাখেন।