শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচন যেভাবে হয়
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। সংগঠনটির সংবিধানের ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, তিনি আগামী একবছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
মঙ্গলবার সংগঠনটির ‘কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৪’-এ তাকে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগের দিন সংগঠনটির সকল সদস্যরা অনলাইনে কেন্দ্রীয় সদস্য নির্বাচনের ভোট প্রদান করেছেন। সেই ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছে সম্মেলনে।
শিবিরের সংবিধানের ১৩ ও ১৪ নম্বর ধারায় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বর্ণিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সংগঠনের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। যদি কোনো কারণবশত কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হয়, তাহলে কার্যকরী পরিষদ, পরিষদের মধ্যে থেকে একজনকে সাময়িকভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করে যথাশীঘ্র সম্ভব সদস্যদের ভোটে সেশনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যদি কেন্দ্রীয় সভাপতি সাময়িকভাবে ছুটি গ্রহণে বাধ্য হন, তাহলে তিনি কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিষদের মধ্যে থেকে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত করতে পারবেন।
মঙ্গলবার সভাপতি হিসেবে জাহিদুল ইসলামের নাম ঘোষণা হওয়ার পরই তার উপর সভাপতির দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। এরপর সভাপতি হিসেবে তার প্রথম দায়িত্ব সেক্রেটারি জেনারেলের নাম ঘোষণা করা।
সংগঠনটির সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা বলছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেক্রেটারি জেনারেলের নাম ঘোষণা করবেন। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসারে, জাহিদুল ইসলাম কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে সেক্রেটারি হিসেবে নুরুল ইসলাম সাদ্দামের নাম ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনেরও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। শিবিরের সংবিধানের ১৯ নং ধারায় বলা হয়েছে, সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কার্যকরী পরিষদ এক বছরের জন্য গঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি থাকবেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল পদাধিকার বলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হবেন।
শিবির সভাপতি কার্যকরী পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ। সংবিধানের ১৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সভাপতি সবসময় কার্যকরী পরিষদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন।