গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডে ছাত্রদলের উদ্বেগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। তারা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ছাত্রদলের দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে, সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রদল কর্মী জসিমউদ্দীনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। জসিমউদ্দীন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তিনি জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং উদ্বেগে রয়েছে।
এছাড়া, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহান এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াজেদ সীমান্তও সম্প্রতি খুন হয়েছেন। তারা দুজনই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ছাত্রদল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি এখন আন্দোলনকারীদের টার্গেট করে গুপ্ত হত্যার মিশনে নেমেছে। পরপর কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী খুন হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা বলে তারা উল্লেখ করেছে।
এছাড়া, আরও কিছু শিক্ষার্থী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর ফলে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন, গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামিরা এখনও পলাতক, এবং সরকার নির্বিকার রয়েছে। এদিকে, ক্যাম্পাসগুলোতে এবং আবাসিক হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, মিছিল-মিটিং করছে, কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ অবস্থায়, ছাত্রদল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ছাত্র জনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।