বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান
সিরাজুল আলম খানের সামনে অনামিকা কেটে রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শপথ নিই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
মুক্তিযুদ্ধে জড়ানোর স্মৃতিচারণ করে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের আমি মুক্তিযোদ্ধা নই, ’৬৯ সালের ১৪ নভেম্বরের মুক্তিযোদ্ধা। অনামিকার রক্ত কেটে সিরাজুল আলমের কাছে মুক্তিযুদ্ধের শপথ নেই। শুধু আমি একা শপথ নেইনি। মুক্তিযুদ্ধের আগে ৮-৯হাজার বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) সদস্য ছিল। প্রত্যেকেই শপথ নিয়েছিল। তাদের চিন্তা-চেতনা-মননে ছিল বাঙালী জাতির সঙ্গে পাঞ্জাবীরা এক সঙ্গে থাকতে পারবে না, পশ্চিমাদের সঙ্গেও থাকতে পারবে না।
সম্প্রতি যুগান্তরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে
স্মৃতিচারণ করে এসব কথা বলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
ফজলুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ে স্লোগান
ছিল ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। পরে ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে
একটা স্লোগান আসল, যে স্লোগানটা বর্তমানে দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে অজনপ্রিয় ও অপ্রিয়
স্লোগান। আবার অনেকের কাছে নিষিদ্ধ স্লোগান। বর্তমানে এই স্লোগানকে বাতিলের জন্য হাইকোর্টে
রিট করা হয়। অথচ এক সময় সাড়ে ৭ কোটি মানুষ জয় বাংলা স্লোগান দিত। কারণ গত ১৫ বছর যাদের
মুখ থেকে এই স্লোগানটা এসেছে তারা দেশকে সর্বনাশ করে গেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
হাসিনা লীগ বা আওয়ামী লীগ যাই বলিনা কেন? ওরাই সব সময় এই স্লোগান দিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায়
যাওয়া নিয়ে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ মনে করেন, বঙ্গবন্ধু এতো তাড়াতাড়ি প্রধানমন্ত্রী
বা রাষ্ট্র ক্ষমতায় না গেলেই পারতেন। নজরুল-তাজুলদের বলতে পারতেন, তোমরা ৬ মাস চালাও
আমি দেশটা ঘুরে দেখি। তাহলে তিনি দেশের জন্য
অনেক ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন।