শাহাবুদ্দিন পার্কের উন্নয়নে জড়িয়ে আছেন নুরুল ইসলাম: দুলু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কের যে উন্নয়ন দেখছেন তার পেছনে যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুলের নাম জড়িয়ে আছে। তিনি উদ্যোগ না নিলে হয়তো এতো নান্দনিক পরিবেশ আমরা দেখতে পেতাম না।
সোমবার সকালে গুলশানের বিচারপতি শাহাবুদ্দিন পার্কে গুলশান হেলথ ক্লাব আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুলশান হেলথ ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম রেজাউল করিম।
এ সময় ক্লাবের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আলম স্বপনসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আপনারা যে সুন্দর জায়গাটিতে বসে অনুষ্ঠান দেখছেন, আগে বসার জায়গা ছিল না। এই যে এতো সুন্দর একটা পার্ক, এতো সুন্দর পরিবেশে হাঁটছেন, ক্লান্ত শরীরে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন, বই পড়তে পারছেন, খেলাধুলা, কার্পেটিং রাস্তা, সানবাঁধা পুকুরঘাট, সুইমিংয়ের ব্যবস্থাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করছেন, সবই নুরুল ইসলাম বাবুলের একক কৃতিত্বে হয়েছে। পার্ক সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকসহ ক্লাবের সদস্যরা।
তিনি বলেন, এখানে হাঁটার কোনো পরিবেশ ছিল না। একেবারে ভাঙাচোরা ছিল রাস্তা। সে সময় এই পার্কের পরিবেশ সুন্দর করার জন্য উদ্যোগ নেন নুরুল ইসলাম বাবুল। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
রাজনীতিবিদদের ভুলের কারণে মহান বিজয়ের অর্জন বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে সাবেক এই উপমন্ত্রী বলেন, দেশের গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত বিজয়ের দিনেও আমরা কথা বলতে পারিনি। আজ স্বাধীনভাবে সবাই কথা বলতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য ৩০ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় অর্জন করেছিলাম তা বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সেই স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছে। আমি আশা করি, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা, তাদের সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যমতভাবে যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে, এর মাধ্যমে আগামী দিনে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে দুলু বলেন, সংস্কার ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি করা হবে ততই এদেশের মানুষের জন্য মঙ্গল। যত বিলম্ব হবে ততই বিতর্কিত হবে অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তারা এখন তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে চায়। দ্রুততম সময়ে সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিন। অবশিষ্ট সংস্কার নির্বাচিত সরকার এসে করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দুলু বলেন, প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মানুষের একটা বিরক্ত ভাব চলে এসেছিল। এ জায়গা থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্ত হয়েছে, পরিত্রাণ পেয়েছে। ৫৪ বছর আগে বাংলাদেশ যে উদ্দেশ্যে বিজয় লাভ করেছিল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে তার পূর্ণতা পেয়েছে।
পার্কে আগের মতো সবাইকে নাটোরের কাঁচা গোল্লা খাওয়ানোর ইচ্ছা পোষণ করে গুলশান হেলথ ক্লাবের সদস্য দুলু বলেন, ইতিপূর্বে এখানে আমরা পহেলা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস ধুমধাম করে পালন করতাম। নাটোর থেকে কাঁচাগোল্লা, আম এনে সবাইকে খাওয়াতাম। কতদিন থেকে আপনাদের কাঁচা গোল্লা, আম খাওয়াতে পারি না। এখন থেকে আবারও খাওয়াব ইনশাআল্লাহ।