বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচার করছে: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতে অসংখ্য মুসলমান, খ্রিস্টান নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে- তাতে বাংলাদেশ কোনো মাথা ঘামায় না; অথচ দেশের অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে প্রতিবেশী দেশ ভারত তুলকালাম কাণ্ড করছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের মিডিয়া ক্রমাগত মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে।
ভারত বাংলাদেশ নিয়ে দিনরাত ডাহা মিথ্যা কথা প্রচার করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের রূপসা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে মানিকগঞ্জ জেলায় শহিদ রফিকুল ইসলাম, আফিকুল ইসলাম সাদ ও সায়াদ মাহমুদ খান এবং আহত সাকিব খান ও হাসনা হেনার পরিবারগুলোর মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেছেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহিদ রফিকের বাবা রহিজ উদ্দিন, শহিদ আফিকুল ইসলাম সাদের বাবা শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হঠাৎ করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত। বাংলাদেশের জনগণ যে সরকার চায়, ভারত তাদের পছন্দ করে না। তারা মনে করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে। তারা মনে করে এসব পণ্য উৎপাদন আমাদের দেশ করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তারা (ভারত) হয়ত মনে করেছে তারা বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো দেশ থেকে এসব পণ্য আনতে পারবে না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
তিনি আরও বলেন, অন্যের জন্য গর্ত করলে যে সেই গর্তে পরতে হয়- তার প্রমাণ শেখ হাসিনা। তিনি আপসহীন নেতৃত্ব বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি রেখেছিলেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ছাত্র-জনতা হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন তার প্রভু ভারত সরকার তাকে টিকিয়ে রাখবেন কিন্তু পারেননি।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ এবং আহতদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের অবদানের কথা স্মরণ করতে তাদের নামে স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করতে হবে। বিএনপি জনগণের দল। আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। পরে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।