Logo
Logo
×

রাজনীতি

রাজধানীর হাজারীবাগে যুবদল নেতা খুন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম

রাজধানীর হাজারীবাগে যুবদল নেতা খুন

রাজধানীর হাজারীবাগে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি হাজারীবাগ ২২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

গত ১৫ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ জামে মসজিদের সামনে আক্রমণের শিকার হন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জিয়ার বড় ভাই মো. সায়েম জানান, হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনে তাদের স্থায়ী বাড়ি।  অবিবাহিত ছিলেন জিয়া। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জিয়া ছিলেন মেজো।

সায়েম আরও জানান, গত ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে যখন জিয়া বের হন, তখন বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ ৩০–৪০ জনের একটি দল তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর আবার ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন আজ ভোরে তিনি মারা যান।

গত ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে হাজারীবাগ পাম্পের পাশে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি সালিশ বসে। সেখানে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুমনের নির্দেশে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে কয়েকজন যুবক। এর মধ্যে জিয়ার ভাগনের এক বন্ধুর কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়। পরদিন যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তারা এলাকায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে। জিয়া ওই যুবকদের ফুসলিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে ওই দিন সন্ধ্যায় সুমনের নির্দেশে বিল্লাল, রিপন, মাসুদসহ অনেক যুবক জিয়াকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ১৫ নভেম্বর বিকেলে এনায়েতগঞ্জ এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিয়াকে আঘাত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মৃতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম