Logo
Logo
×

রাজনীতি

জামায়াত নেতা ড. মাসুদের মুখে বাঘ শিকারীর গল্প

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

জামায়াত নেতা ড. মাসুদের মুখে বাঘ শিকারীর গল্প

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ চলমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন।  রাজনীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি এক বাঘ শিকারির গল্প বলেছেন। ঢাকায় একটি আলোচনা সভায় দেওয়া মাসুদের বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলিম বাংলাদেশে কেন আমাদের লড়াই করতে হবে- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম নিয়ে। ৯৫ ভাগ মুসলিমের দেশে কেন লড়াই করে হবে একটি জলসা কিম্বা মাহফিলের জন্য। ৯৫ ভাগ মুলমানের দেশে আজকে কেন হুমকি দেওয়া হবে- গণহত্যাকারী আবার রাজ পথে নামবে। 

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- গণহত্যাকারী বাংলাদেশে কেন পৃথিবীর আর কোনো জায়গায় এক ইঞ্চি জায়গা দেওয়া হবে না। যারা আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন- আসেন সবাই আমরা আজ দখল করে ফেলি জিরো পয়েন্ট, আসেন আমরা দখল করে ফেলি উমুক জায়গা- আপনাদের আর দখল করতে হবে না। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি আরও বলেন, আপনারা মানুষকে গত ১৭ বছর অন্যায়ভাবে দখল করে রেখে ছিলেন। আর গোটা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইল আমাদের তরুণ ছাত্র -যুবকেরা তাদের রক্ত-জীবন বাজি রেখে দখল করে নিয়েছে- এই জায়গা ইসলামের বিজয় ছাড়া এক ইঞ্চি জায়গা আমারা ছেড়ে দেব না। সুতরাং ওই সব দখল-বেদখলে হিসাব এখন শেষ। কারণ এই ছাত্র-জনতা যে স্লোগান তুলেছিল - উই ওয়ান্ট জাস্টিস। এটার শেষ ঠেকরে গিয়ে আমরা পৌঁছাব। সেটার শেষ গল্পা বলে শেষ করছি। 

তিনি বলেন, শহিদ সেনুয়ারের সেই গল্পটি ক্লাস এইটের সময় আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের কাছে থেকে শোনা। সুন্দরবনে বেড়াতে গিয়েছেন উনি। বাঘ শিকারীর সঙ্গে গল্প করছেন। আপনার বাবা বেঁচে আছেন। না উনি বেঁচে নেই। কী হয়েছে তার- বাঘ শিকার করতে করতে বাঘের মুখে পড়ে মারা গেছেন। তাই নাকি- আচ্ছা আপনের দাদা। উনি তো তারও আগে মারা গেছেন। উনি কিভাবে মারা গেছেন? উনিও বাঘ শিকার করতে করতে বাঘের মুখে পড়ে মারা গেছেন। আপনার তার আগের বাবা- উনি কী করতেন; ওই একই পেশায় ছিলেন। উনিও বাঘ শিকার করতে করতে বাঘের মুখে পড়ে মারা গেছেন। আপনারা জেনেশুনে - আপনার বাবা, তার বাবা, তার দাদা, তার দাদার বাবা সবাই বাঘের মুখে পড়ে মারা গেলেন; আর আপনি এটাতা দুঃসাহসি যে, সেই বাঘের মুখে পড়ে এখনও বাঘ শিকার করতে করতে জীবন পরিচালনা করছেন। এবার সেই শিকারি ভাবল এই লোকটিকে একটু শায়েস্তা করা দরকার। উনি তো ভীরু কাপুরুষ; অথর্ব জাতি। আমি না হয় অশিক্ষত; উনি তো ঢাকা থেকে আসছেন। এটাকে একটু শায়েস্তা করা দরকার। শায়েস্তা করার মানসিকতায় জিগেজ্ঞ করলেন- আপনার বাবা কি বেঁচে আছেন- বলেছেন না (ইন্নালিললাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করুক। কী হয়েছিল তার- অসুস্থ ছিলেন, চিসিৎসা চলছিল- বিছানায় শুয়ে-পরে মারা গেছেন। আপনার দাদা- ওই একই অবস্থা চিসিৎসা ও রোগে শোকে মারা গেছেন। তার বাবা- ওই একই অবস্থা ডাক্তার দেখেছেন- শুয়ে-পরে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। ওই বিছানা খানা কি আছে? হে আছে- আমিও সেই বিছানায় ঘুমাই। 

শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সেনুয়ারের কথা সেই জন্য বলছি- আমি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ছোট মানুষ- আমরা বিছানায় শুয়ে রোগে-শোকে মারা যাব না। আমরা বাঘের মুখে পড়ে মারা যাব- এই বাংলাদেশকে স্বাধীন রাখব এবং এই ফিলিস্তিনকে বিজয়ী করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম