জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আগামী ৮ নভেম্বর জাতীয় র্যালি করবে বিএনপি। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে এ র্যালির আয়োজন করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ৮ নভেম্বর হবে ইতিহাসের সর্ববৃহৎ র্যালি যা ইতিহাস গড়বে। জেলা, মহানগর সব পর্যায়ে এই র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
সামগ্রিকভাবে এই র্যালি সফল করার আহ্বান জানান তিনি। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ৫ আগস্টের মতো বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজপথে থাকবে বলে জানান ডা. জাহিদ।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত সরকার জনগণের মন থেকে জিয়াকে মুছে দিতে চেয়েছিলো কিন্ত তারা ব্যর্থ হয়।
তিনি বলেন এখনও বিভিন্নভাবে একই ষড়যন্ত্র চলছে এবং বিভিন্নভাবে এই সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।
ডা. জাহিদ জানান, নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করা হবে। ঢাকার পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ মুন্সীগঞ্জ,গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও নরসিংদী জেলার নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিবেন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর তাদের মতো করে র্যালি করবে। এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে আসছে ৬ নভেম্বর (বুধবার) আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার (কবর) জিয়ারত এবং ৮ নভেম্বর জাতীয় র্যালি করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিক দলের সমন্বয়নকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজুন, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
যৌথ সভায় বলা হয়, র্যালিতে পোস্টার ও ব্যানারে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার বাইরে কারও ছবি ব্যবহার না করা, সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে র্যালিতে অংশ নিতে হবে। জাসাসের আয়োজনে ব্যান্ড পার্টির বাইরে কোনো ঢোল, হাতি ও ঘোড়ার ব্যবহার না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।