‘ন্যায়বিচারে আ.লীগের কারো ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড হলে হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না; কিন্তু আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। ন্যায়বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার।
তিনি আরও বলেছেন, সব শহিদ পরিবারকে আহ্বান জানাব, আপনারা অবশ্যই ন্যায়বিচার চাইবেন। জামায়াতে ইসলামী আপনাদের পাশে থেকে আইনের অঙ্গনে লড়াই করবে। ন্যায়বিচার পেলে হয়তো কিছুটা সান্ত্বনা পাবেন। আগামী দিনে এ ধরনের স্বৈরশাসক হওয়ার খায়েশ তখন কারও জাগবে না। ওই কারণেই আমরা ন্যায়বিচারটা চাই।
রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শফিকুর রহমান।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
জামায়াত আমির আরও বলেছেন, আওয়ামী লীগ যত মানুষকে খুন করেছে, সব খুনের ন্যায়বিচার আদালত থেকে পেতে চাই। আদালতের কাছে আমাদের দাবি স্পষ্ট, আমাদের ওপর যেমন জুলুম করা হয়েছে, ওদের ওপর যেন জুলুম করা না হয়। ওদের যেন ন্যায়বিচারের মাধ্যমে তাদের আসল পাওনাটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাতে যদি কারও ফাঁসি হয় হবে। কারও আমৃত্যু কারাদণ্ড হলে হবে। তারাই (আওয়ামী লীগ) তো বলত, বিচারবিভাগ স্বাধীন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আপনিও (আওয়ামী লীগ) তো আইনের ঊর্ধ্বে নন।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের থাবায় যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের সবার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে তুলে আনার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির।
তিনি বলেছেন, এই প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মকে জানতে দিতে হবে ফ্যাসিবাদেরা এই দেশে কী করেছিল। আর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কারা লড়াই করেছিলেন, যুদ্ধ করেছিলেন, তা জানতে দিতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বক্তব্য দেন। এছাড়াও বক্তব্য দেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদ প্রমুখ।