পাঠ্যপুস্তক থেকে ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহার জঘন্য ইতিহাস বিকৃতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কয়েক বছর পূর্বেও পাঠ্যপুস্তক থেকে মওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দেয়; সে সময় মওলানা ভাসানীর অনুসারীদের কঠোর আন্দোলনের মুখে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়। ২০২৫ সালের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির নতুন পাঠ্যপুস্তকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মওলানা ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ ঢাকা মহানগর কমিটির উদ্যোগে ৫ম ও ৮ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী প্রত্যাহারের প্রতিবাদ এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদ ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং নুরুজ্জামান হীরার সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম এবং মোশারফ হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও মানববন্ধনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর একান্ত অনুসারী এডভোকেট নজমুল হক নান্নু, কবি, লেখক ও গবেষক আব্দুল হাই শিকদার, মওলানা ভাসানীর নাতী মাহমুদুল হক শানু ও আজাদ খান ভাসানী।
অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে আমাদের জাতীয় ইতিহাসে মওলানা ভাসানীর অবস্থান তুলে ধরে বলেন, তিনি আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামে অবিসংবাদিত নেতা। মওলানা ভাসানীকে তরুণ প্রজন্মের কাছ থেকে আড়াল করে অন্য কাউকে প্রতিষ্ঠা করা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাস্যকর প্রচেষ্টা। ইতিহাস সবার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই ইতিহাস থেকে কাউকে মুছে ফেলা যাবে না। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২০২৫ সালের নতুন পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানী জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ঢাকা মহানগর সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে মওলানা ভাসানীর জীবনী অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।