শেখ হাসিনা গণআন্দোলনের মুখে পালিয়েছে, তার পদত্যাগের কোনো প্রয়োজন নেই: রাশেদ খান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
আওয়ামী দুর্বৃত্তদের অতর্কিত গুপ্ত হামলার প্রতিবাদে ও গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে-মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পল্টন মোড় বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, শেখ হাসিনা কি এখনো প্রধানমন্ত্রী? রাষ্ট্রপতির কাছে শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র দিক বা না দিক, তাতে কি আসে যায়? যে গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছে, তার পদত্যাগের কিছু নাই। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যে অপরাধ করেছে, তাদের রাজনীতির কোন অধিকার নাই। সুতরাং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। ভোটের রাজনীতির জন্য কোন দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলেও, জনগণ আওয়ামী লীগকে কোনো ক্ষমা করবে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার নামে কেউ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসার কথা বললেও জনগণ আওয়ামী লীগের মত গণহত্যাকারী দলকে নির্বাচন করতে দিবে না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করা হবে।
রাশেদ খান আরও বলেন, এই সরকার ইতোমধ্যে ব্যর্থ। তারা আওয়ামী পাণ্ডাদের এখনো আটক করতে পারছে না, পুলিশের খুনিদের ধরছে না, নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। মানুষের আহাজারি বেড়েছে। সরকার কোনকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের অধিকাংশ উপদেষ্টাদের এনজিও সেক্টরে ভালো অভিজ্ঞতা থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। যে কারণে তারা ব্যর্থ হচ্ছেন কিন্তু তারা ব্যর্থ হোক আমরা চাই না। যেকারণে আমরা চাই, উপদেষ্টা পরিষদের পরিধি ২১ থেকে ৫১ করা হোক রাজনৈতিক অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের নিয়োগকৃত আমলারা এখনো প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে, আপনাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আওয়ামী লীগের নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্বে রেখে ছাত্র জনতার অর্জিত বিজয় সুরক্ষিত নয়। রাষ্ট্রপতির গতকালের বক্তব্যের পর আজকে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ যুবলীগ হামলা করেছে, ঢাকার গুলিস্তানে ছাত্রলীগ মিছিল করেছে এগুলো স্বাভাবিক বিষয় নয়,এগুলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে যেকোন প্রতিবিপ্লব মোকাবিলার জন্য।
দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ সহ তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের গর্ত থেকে বের হয়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ঝটিকা মিছিল না করে রাজপথে নেমে আসুন।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ যত গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট, অর্থ পাচার করেছে এবং জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যার বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা এদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি হোসাইন নুর, শাকিল আহমেদ তিয়াস, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরণ, উত্তরের সভাপতি মামুন শেখ প্রমুখ।