বাংলাদেশে বারবার আন্দোলনের বীজ বপন করেছেন মুসলমানরা: ফয়জুল করীম
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এ দেশ বারবার স্বাধীন হয়েছে। ব্রিটিশরা দুইত বছর শোষণ করেছিল, ব্রিটিশদের শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল মুসলমানরা। সেই সময় ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনের বীজ বপন করেছিল মুসলমানরা। সেই আজাদি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুসলমানরা। তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে একটি পর্যায়ে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হলাম। মনে করেছিলাম বৈষম্য দূর হয়ে যাবে, কিন্তু হয়নি। সংখ্যাগুরু হিন্দুরা বৈষম্য শুরু করল, মুসলমানদের অধিকার দেয়নি। এরপর একে স্বাধীনতা এলো কিন্তু তখনো স্বাধীনতা ফিরল না।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারাই ক্ষমতায় ছিল, তারা বৈষম্যহীন সরকার ছিল না। তারা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। যারা যেই সময় ক্ষমতায় ছিল তারাই সুবিধা নিয়েছে, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদের বস্ত্রের কোনো অভাব ছিল না, তাদের ঘরের অভাব ছিল না, আমেরিকা ও ইউরোপে তাদের কত ঘর আছে, তারা সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়েছে, আর আমাদের জনগণ না খেয়ে, কোন সুবিধা না পেয়ে ধুকে ধুকে মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ১৪ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে। ইসলাম থাকলে ১ লাখ টাকাও বাংলাদেশ থেকে পাচার হতে পারত না। ১৪ লাখ কোটি টাকা যদি গরিবদের মাঝে বণ্টন করা হতো, এই টাকা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি করা হতো, রিকশাওয়ালাদের রিকশা কিনে দেওয়া হতো, কৃষকদের দেওয়া হতো, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হতো তাহলে বাংলাদেশে একটা গরিব থাকত না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে একজন মন্ত্রীর ড্রাইভার দুইশ কোটির টাকার মালিক হয়ে যায়। ৯৮ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লুটপাট হয়ে যায়। এইটা ভাবা যায়? ৫ আগস্টের পরে আমরা মনে করেছিলাম বৈষম্য দূর হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম আবারও দখলদারি, চাঁদাবাজি, চুরি, মাস্তানি শুরু হয়েছে। এগুলো চলতে থাকলে ৫ আগস্টের স্বাধীনতা ব্যর্থ হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা সুলাইমান আহমদের পরিচালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইউনুফ আহমাদ মানসুর।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা শাখাসহ প্রত্যেক উপজেলার শাখার নেতারা।
গণসমাবেশে মৌলভীবাজার জেলা শাখার ৬টি দাবি তুলে ধরা হয়।