সরকারের সর্বত্র শেখ হাসিনার দোসররা সক্রিয়: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
সরকারের সর্বত্র শেখ হাসিনার দোসররা সক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভূতরা আজকে আদালতে আছে, প্রশাসনে আছে, পুলিশে আছে। তারা প্রতি পদে পদে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দেশের প্রশাসনের অবস্থা তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) যৌথ উদ্যোগে ‘আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আমার দেশ পত্রিকার খুলে দেওয়ার দাবিতে’ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদ আর নাৎসীদের কখনোই রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন হতে পারে না। মুসলিনী আবার ফিরে আসেনি ইতালীতে, হিটলার আবার পূনর্বাসিত হয়নি জামার্নীতে। সুতরাং কোনোভাবেই মাফিয়া-নাৎসী-ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না। একটি নতুন বৈপ্লবিক বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, একটি আইনের শাসনের বাংলাদেশ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার বাংলাদেশ গড়তে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগনের সরকারের মতো কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের এতো আত্ম্যত্যাগ, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ওপর এই বিপ্লব রচিত হলো। তাহলে এর কাযর্ক্রম সব কিছু তো বৈপ্লবিক হবে। আজকে ঘাপটি মেরে থাকা যেসব শেখ হাসিনার দোসর প্রশাসনে, পুলিশে প্রত্যেকটি জায়গায় তারা বিভ্রান্ত তৈরি করার চেষ্টা করছে। পুলিশের সামনে মার্ডার কি করে হয়? তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর এর দায়িত্ব বর্তায়। ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে’ কেন মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে যেতে হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন রিজভী।
তিনি বলেন, দুই মাস হয়ে গেলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কেন দেশে আসলেন না? কি আইনি প্রক্রিয়া আছে? এই আইন তো মানবতা বিরোধী আইন। এই আইন স্বার্থ রক্ষা করা হয় মাফিয়াদের, স্বৈরাচারের, খুনীদের। এই আইন তো একটা নির্বাহী আদেশের একটা খোঁচায় এই আইন পরিবর্তন হতে পারে। তাহলে কি আপনারা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) ভয় পাচ্ছেন? নাকি কোনো জায়গা থেকে কেউ নির্দেশ দিচ্ছেন এর বাইরে যাওয়া যাবে না, এভাবে কাজ করবেন। দেশনায়েক তারেক রহমান যেন ফিরতে না পারে সেই ব্যবস্থার জন্য আপনারা এই কাজগুলো করুন, এগুলো পরিবর্তন করা যাবে না।
বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, খুব দুঃখ লাগে যে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিপ্লবের পরে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হয়েছে দাবি নিয়ে। আমরা এই সমাবেশ থেকে সব বন্ধ সংবাদপত্রসহ মিডিয়া খুলে দিতে হবে।
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএফইউজের সহসভাপতি বাছির জামাল, সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল আউয়াল ঠাকুর, একেএম মহসিন, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুরসালীন নোমানী, মহিউদ্দিন প্রমুখ।