সুলতান মনসুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, আটক হওয়ায় মিষ্টি বিতরণ
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৬ এএম
মনসুর আহমদ
সাবেক এমপি ও ডাকসুর ভিপি সুলতান মো. মনসুর আহমদকে গ্রেফতারে তার নির্বাচনি এলাকায় সোমবার রাতে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, তাকে বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকায় যুবদল নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যার অপরাধে সুলতান মনসুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা দিয়ে তার ফাঁসি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এছাড়াও বিগত সময় কুলাউড়ায় সুলতান মনসুরের দোসরদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌমুহনী চত্বরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, সহসভাপতি আজিজুর রহমান মনির, আবদুল জলিল জামাল, কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, রফিক মিয়া ফাতু, যুগ্ম-সম্পাদক মইনুল হক বকুল, দপ্তর সম্পাদক মোহিতুর রহমান, আব্দুল মোক্তাদির মুক্তার প্রমুখ।
উপজেলা বিএনপির একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমেদ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোট ভিক্ষা চেয়ে এমপি হয়ে সংসদে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করেছেন। এমনকি ছাত্রদলকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন। তার বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আমরা কুলাউড়াবাসী লজ্জিত। তার সময়কালে সরকারি টিউবওয়েল বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যাপক হরিলুট হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির একাংশের সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সুলতান মনসুর আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে ভোট ভিক্ষা চেয়ে এমপি হন। তিনি বলেছিলেন, সংসদে গিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কথা বলবেন। কিন্তু তিনি সংসদে গিয়ে একদিনের জন্যও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কথা বলেননি। সুর পালটিয়ে তিনি শেখ হাসিনার সরকারের গুণকীর্তনে ব্যস্ত ছিলেন।
১৯৮৬ সালে সুলতান মনসুর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদেও (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মনসুর বিজয়ী হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।