শেখ হাসিনার বিচার দাবি জোনায়েদ সাকির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
গণহত্যায় যুক্ত শেখ হাসিনাসহ প্রত্যেকের বিচার করার জন্য দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেঙ্গলী মিডিয়াম হাইস্কুলে ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে আহত-নিখোঁজ ও শহিদদের তালিকা প্রকাশ ও স্মরণসভায়’ তিনি এ দাবি জানান। ২৩ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গণসংহতি আন্দোলনের ক্যাম্প থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুর-আদাবর অঞ্চলে ২২ জন নিহত, ২২৭ জন আহত ও ২ জনের নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানানো হয়।
সাকি বলেন, যে মানুষ সব মানুষের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জীবন দিতে পর্যন্ত কুণ্ঠাবোধ করেননি-তারা এ জাতির জন্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দায় তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া। আর প্রতিটি হত্যাকাণ্ডে যথাযথ তদন্ত করা। নতুন বাংলাদেশে ন্যায়বিচারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। হত্যাকাণ্ডে যুক্ত শেখ হাসিনাসহ প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরির দাবি অত্যন্ত ন্যায্য, শেখ হাসিনার আমল থেকে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির জন্য লড়াই করেছেন ও জীবন দিয়েছেন। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যদিকে শ্রমিক ভাই-বোনদের বলি, এ গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের পাশাপাশি জনতাও অংশগ্রহণ করেছেন। সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে শ্রমিকরা জীবনবাজি রেখে ফ্যাসিস্টদের প্রতিরোধ করেছেন। তাই বলি, পতিত ফ্যাসিস্টরা যাতে কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে ব্যাপারেও শ্রমিকদের সচেতন থাকতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য লড়াই করছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে যারা আবার পুরোনো ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় ফেরত নিতে চায় তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
মোহাম্মদপুর থানার সংগঠক ফাইয়াজ ফিরোজের সভাপতিত্বে ও গণসংহতি আন্দোলনের সংগঠক হাসান আল মেহেদীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, বিশিষ্ট সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আবু হানীফা, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক নুসরাত হক, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সজল আহমেদসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।