১৭ বছরে আমার জীবনে সমস্ত কিছু এই আওয়ামী সরকার কেড়ে নিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি না শুধু, আমার মতো বাংলাদেশের বহু নেতাকর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমার পরিবারটা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা পৃথক দুই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মির্জা আব্বাস।
জোটভুক্ত হয়ে নাকি এককভাবে ভোটে যাবে জামায়াত?
এদিন ঢাকার পৃথক দুইটি বিশেষ জজ আদালতের বিচারক তাকে খালাস প্রদান করেন। দুই মামলায় খালাস পেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে কাঁদতে দেখা গেছে বিএনপির এই নেতাকে।
এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে এই সরকারের কাছে আবেদন করব, এই ধরনের নিপীড়নমূলক ভ্যানগুলো যেন প্রত্যাহার করা হয়। এই ভ্যানে করে আমাদেরকে আনা-নেওয়া করা হয়েছে। অনেক কষ্ট হয়েছে। তারপরও বলব, ১৭ বছরে একটা মানুষের জীবনে যে প্রাইম টাইম আজকে আমার বয়স ৭৪ বছর। এই ১৭ বছরে আমার জীবনে সমস্ত কিছু এই আওয়ামী সরকার কেড়ে নিয়েছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি না শুধু, আমার মতো বাংলাদেশের বহু নেতাকর্মীর জীবন শেষ করে দিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই ১৭ বছরে আমাদের বহু কর্মী নিহত হয়েছে। জেলখানায় মারা গেছে। বিনা চিকিৎসায় জেলখানায় মারা গেছে। এই ১৭ বছরে বহু পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। একইভাবে আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করি, নামাজ পড়ি, দোয়া করি আল্লাহ আমার বিক্ষিপ্ত পরিবারকে এক করে দাও। আমার পরিবারটা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমার বিক্ষিপ্ত পরিবারটাকে একত্র করে দাও। এটা আর হলো না।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আল্লাহর যে রহমত, আল্লাহর যে বিচার, এই বিচার থেকে কোনো মানুষ কেউ রেহাই পাবে না। আল্লাহর যে রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হয়েছে, তেমনি আল্লাহর বিচারও তাদের ওপর বর্ষিত হবে। ওরা যে যেখানে আছে, ওখানে শাস্তি পাবে। আপনারা সর্বশেষ দেখেছেন বিচারপতি মানিকের, কোরআনে আছে, আল্লাহ তায়ালা যাকে বেইজ্জতি করেন, কীভাবে করেন, উনি দেখিয়ে দেন। আমি চাই, আল্লাহ-তায়ালার কাছে সেই বিচারটা।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘অনেকে বলতে পারেন, ক্ষমা মহত্ত্বের লক্ষণ। আমি ভাই মহৎ ব্যক্তি না। আমার জীবনের বিনিময়ে কাউকে ক্ষমা করতে পারছি না। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে চাই।’