জাতীয় শত্রুদের আশ্রয় না দিতে সকলের প্রতি আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়গুলোকে যেসব পরামর্শ দিল এলডিপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ
ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ ও দাবি জানিয়েছে ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রমের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি)। শনিবার এসব সুপারিশ ও দাবি তুলে ধরে দলটি।
সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবিসমূহ
১. ২০০৯ সালের পর হতে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে গণহত্যাকারী, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী, দুর্নীতিবাজ নেতা, চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি, সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রীসহ সকল অবৈধ সুবিধাভোগীদের গ্রেফতার করার পূর্ণ মাত্রায় কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন? অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে তাদের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাও প্রয়োজন।
২. হেফাজত ইসলামের আন্দোলনের সময় যে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল তাদের বিচারের জন্য কমিশন
গঠন করা হোক।
৩. পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন অফিসারসহ অন্যান্যদের হত্যার বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা হোক।
৪. গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ দায়ী মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
৫. সাবেক প্রধান বিচারপতি খাইরুল হক ও বিচারপতি মানিক, জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই দুইজনের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. ২০০৯ সালের পর হতে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা বা গায়েবী মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
৭. পুলিশে অসংখ্য আওয়ামী ক্যাডার লুকিয়ে আছে। যে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও মন্ত্রী গণহত্যার জন্য উস্কানি দিয়েছে, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে কঠোর বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৮. স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলি গণহত্যাকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, টাকা লুন্ঠনকারী ও টাকা পাচারকারী সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাদেরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা বিগত ৮ আগস্ট সর্ব প্রথম দাবি জানাই।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এলডিপি এবং জনগণের পক্ষে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সুপারিশসমূহ
১. ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ খুবই জরুরি, ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। বিভিন্ন দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে আমাদেরকে প্রয়োজনে কয়েকটি প্রদেশ করতে হবে এবং ওই আলোকে নতুন সংবিধান তৈরি করতে হবে। তাহলে ঢাকা বসবাসের উপযুক্ত নগরী হবে। জনগণের সমস্যার লাঘব হবে। একজন ঝাড়ুদারের চাকরি হলেও ঢাকা থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তাহলে নতুন বাংলাদেশ কিভাবে বিনির্মাণ করবে।
২. প্রত্যেক বিভাগে হাইকোর্ট স্থাপন করতে হবে।
৩. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেক বিভাগে অন্তত ৩/৪টি আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে। সেই সাথে বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ বাংলাদেশি ডাক্তারদের দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে
৪. বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সমস্ত কমিশনগুলোকে স্বাধীন এবং রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। একইসাথে তাদের দায়বদ্ধতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ডিজিএফআই ও ডিজিএনএসআইসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার কাজ সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। র্যাব ও পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। র্যাবের প্রধান সব সময় সশস্ত্র বাহিনী থেকে পদায়ন করতে হবে।
৬. সকল স্তরে পদায়নে রাজনীতিমুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে যারা তাবেদারি করেছে তাদেরকে প্রমোশন দিয়েছে। আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা শুধরানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আগামীতে যেন কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কোন দলের সেবাদাস না হয় বা দলের সদস্য না হয়, তা নিশ্চিত করতে পারলে বাংলাদেশের মাটিতে আর স্বৈরশাসক, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, লুটেরাদের স্থান হবে না।
৭. খুনি, লুটেরা ব্যবসায়ীরা রাতারাতি রং পরিবর্তন করছেন। সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্ত, সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পোস্টিং করে দেওয়াটা শুধু সমাধান নয়। ভুলবশত কোন বদলি বা পদায়ন হয়ে থাকলে তা পুনরায় শুধরায়ে নিয়ে তদন্ত করে শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যে সকল কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছে, অবসর দেওয়া হয়েছে বা বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের বিগত দিনের অপকর্ম এবং দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। তাদের নিকট থেকে জনতার টাকা উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ গণপূর্ত ও রাজউক এর কথা বলা যায়।
৮. দুর্নীতিমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, জবাবদিহিমূলক এবং সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। নীতি ও নৈতিকতা তলানিতে ঠেকেছে। তা পুনরায় সমাজে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় নতুন বাংলাদেশ গঠন হবে না।
৯. নতুন প্রজন্মের আধুনিক চিন্তাধারা, টেকনোলজি ও পুরাতনদের অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করা একান্ত প্রয়োজন।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সুপারিশসমূহ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
১. ১৯৯৬ সাল হতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অসংখ্য আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদেরকে চাকুরী প্রদানের অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানাই। তবে, অহেতুক কোন নিরপরাধ কর্মকর্তা/কর্মচারী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২. বিভিন্ন উপজেলা/ পৌরসভা/ সিটি কর্পোরেশন/ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের আন্দোলন, ও কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় যারা অস্ত্র প্রদর্শন করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলি উদ্ধার করতে হবে।
৩. চাঁদাবাজরা জনগণের শত্রু তাদের চিহ্নিত করুন, গ্রেফতার করুন এবং কঠোর শান্তির পদক্ষেপ নিন।
৪. উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত স্বৈরাচারী সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা/ গ্রেফতার করতে হবে। চিরদিনের জন্য এই অমানুষদের শায়েস্তা করতে হবে।
৫. সকল পুলিশ কর্মকর্তা অর্থাৎ থানার ইনচার্জ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পদায়ন করা হবে এবং তারাই নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে আই.জি, পদ পর্যন্ত প্রমোশন পেতে পারে, সেই সুযোগ রাখতে হবে।
৬. কনস্টেবল পদের জন্য বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক করতে হবে, তারাই ক্রমান্বয়ে প্রমোশনের মাধ্যমে এস. আই পর্যন্ত হতে পারবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক নির্ধারণ করা যেতে পারে।
৭. মাদক দ্রব্যের বিস্তার রোধ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ মদের বার, ক্যাসিনো ও ক্লাব সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন অনৈতিক কাজ হচ্ছে, যা ইসলাম ধর্ম পরিপন্থী। অনতিবিলম্বে এইগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
১. স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী, গুম-খুন ও আয়না ঘরের কারিগর শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিলে স্বাভাবিকভাবে তাদের সাথে সম্পর্কের চির ধরবে। তাকে যথাশীঘ্র ভারত থেকে এনে গণহত্যা, দুর্নীতি এবং দেশের সম্পদ লুণ্ঠন, বিডিআর হত্যা, হেফাজত ইসলামের হত্যাকান্ডের দায়ে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।
২. যে সমস্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার ও রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ অবলম্বন করেছিল, তাদেরকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করতে হবে। মনে রাখবেন, অবসর নয়, বদলী নয়, সোজা বাড়ি।
আইন মন্ত্রণালয়
১. ২০০৯ সনের ৬৩ নং "জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন"-সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাচারী আইন বাতিল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং জনগণের নিকট জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৩. একাধিক দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন করে উপযুক্ত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে টাকা পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ, লুঠেরা ও গণহত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
8৪. র্যাব ও পুলিশের ক্ষমতা প্রয়োগের সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। মিথ্যা ও গায়েবী মামলা, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার ইত্যাদি অসাংবিধানিক কার্যকলাপ বন্ধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. শুধু বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নয়, সকল সরকারী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব ও পরিবারের সদস্যদের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিবরণ চাইতে হবে। দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দেশে বা বিদেশে অবৈধ সম্পদের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলে তাদেরকে চাকুরী হতে বরখাস্ত করতে হবে। ভবিষ্যতে ঐ ধরণের ব্যক্তি বা তার পরিবারবর্গ কোন প্রকার সরকারী চাকুরী ও ব্যাংক ঋণ পাওয়ার অযোগ্য বলে পরিগণিত হবে।
৬. ভবিষ্যতে সমস্ত পর্যায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করতে হবে। দুষ্কৃতিকারী ও আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রাখতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়
১. আয়করের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে, সরকারী ও বেসরকারী চাকুরীজীবিদের ব্যক্তি আয়করের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। বিশেষ করে আয়কর আইন- ২০২৩ এর মাধ্যমে বেসরকারী চাকুরীজীবিদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের উপর বৈষম্যমূলক কর আরোপ করা হয়েছে। এই ধরণের আইন বাতিল করে সকল চাকুরীজীবিদের জন্য একই ধরণের আয়কর আইন প্রণয়ন করতে হবে।
২. ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া বিভিন্ন দেশের অনেক নাগরিক বাংলাদেশে কর্মরত। রেমিটেন্স হিসাবে পাওয়া আমাদের বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগ তারাই নিয়ে যায়, এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. অসাধু ব্যবসায়ী ও ব্যাংক লুন্ঠনকারীদের মাধ্যমে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯৪ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থ ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
১. এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা ও অংশীজনদের বিতাড়িত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদের পদায়ন করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে এই সকল কমিটিগুলি সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হউক।
(ক) স্কুল সমূহের সভাপতি পদের জন্য- ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি পাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে। (খ) কলেজ সমূহের সভাপতি পদের জন্য- মাষ্টার্স ডিগ্রি পাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২. প্রাইমারী স্কুল, হাইস্কুল এবং কলেজ সমূহের পাঠ্য পুস্তকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ইসলাম ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ পরিপন্থী বিষয়গুলি বাদ দিয়ে যুগোপযোগী করতে হবে।
৩. এই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল প্রতিষ্ঠান হতে রাজনৈতিক ক্যাডারদের বরখাস্ত করে তাদের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
১. অবস্থার উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন/ উপজেলা/ পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের নির্বাচন পুনরায় ব্যবস্থা করতে হবে।
পরিশেষে সেনাবাহিনীকে বলতে চাই, আওয়ামী স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী, টাকা লুন্ঠনকারী, দুর্নীতিবাজ সাবেক মন্ত্রী, এমপি বা নেতা যারা বিভিন্ন সেনা নিবাসে আশ্রয় নিয়েছে বা লুকিয়ে আছে তাদেরকে আয়নাঘরে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং আইএসপিআরের মাধ্যমে সংবাদপত্রে খবরগুলি প্রকাশ করুন। এতে আপনাদের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশের কোন নাগরিকের উচিত হবে না- এই ধরনের জাতীয় শত্রুকে আশ্রয় দেওয়া। কোন বাসায় এই ধরনের জাতীয় শত্রু পাওয়া গেলে আশ্রয়দাতাগণের বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করি, এই জাতীয় শত্রুদের ধরিয়ে দিবেন।