দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতাদেরও বিচার করতে হবে: ১২ দলীয় জোট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ
শুধু কয়েকজন ব্যক্তি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিচার করলে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, বরং যারা দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদ দেন তাদেরও বিচার করতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এমন মন্তব্য করেন। ‘সীমাহীন লুটতরাজ, দুঃশাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবাদ’ শীর্ষক এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অতি সম্প্রতি দেশে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের অন্যায়-দুর্নীতির ঘটনা সবাই জানেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন শুধু তাদের বিচার করলে হবে না। তাদেরকে যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় তাদেরও বিচার করতে হবে। সেজন্য সবাইকে রাজপথে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ও অসহায়। তারা এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
কোনো দেশের তাঁবেদারি মেনে নেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করে সেলিম বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকে বাংলাদেশ ডুবন্ত নৌকায় আসীন। চারিদিকে হাহাকার। আজকে আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করা হচ্ছে। বাহিনীর সাবেক প্রধান আজিজ আহমেদ দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্য হচ্ছেন। তাদের দুর্নীতির দায় তো সরকারের ওপর বর্তায়।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেশে ১০ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি। ডলার ও রিজার্ভ সংকটের কারণে এটি হয়েছে। এরমধ্যেই রিজার্ভ চুরি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আব্বাস আলী খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান প্রমুখ।