বিদ্যুৎ খেকো সরকারকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে: এবি পার্টি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
জনগণের টাকা লুট করে দিনের পর দিন নাগরিকদের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবনযাপনে বাধ্য করেছে সরকার। বিদ্যুৎ খেকো এই সরকারকে এজন্য করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। বিদ্যুৎ খাতে যথেচ্ছ লুটপাট ও বছরে ৪ বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে নির্মম শোষণের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন পার্টির নেতারা।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় ও আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- পার্টির যুগ্ম আহবায়ক সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় এই লুটেরা সরকারের নেতা-পাতি নেতারা মৌজ মাস্তি করে বেড়াচ্ছে। অথচ দেশের মানুষ খাবার কিনতে পারছে না। দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন এই সরকার অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই সরকারের প্রতিটা কর্মকর্তা কর্মচারী আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, পিয়ন থেকে শুরু করে সচিব, মন্ত্রীরা পর্যন্ত জনগণের ঘাম ঝরানো টাকা লুট করে খাচ্ছে। এই অন্যায় চলতে পারে না। এবি পার্টি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, মানুষকে এই রক্তচোষা সরকারের হাত থেকে রক্ষার জন্য আন্দোলন করে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার বলে দেশ নাকি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারা নাকি চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন করছে। ঘরে ঘরে নাকি তারা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। এতই যদি বিদ্যুৎ থাকে তাহলে আজ অটোরিকশা কেন বন্ধ করা হচ্ছে, চালকদের কেন পুলিশ দিয়ে পেটানো হচ্ছে? এই দূর্নীতিবাজ সরকার জনগণের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের দাম আদায় করে ১৪ হাজার মেগাওয়াট জনগণকে সাপ্লাই দিয়ে বাকি বিদ্যুতের দাম ডলারে পরিশোধ করে জনগণকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা আগেও বলেছি- গণতান্ত্রিক শক্তিকে নির্মূল করলে অগণতান্ত্রিক চরমপন্থী শক্তি হবে এই সরকারের প্রতিপক্ষ। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বিরোধী দলের আন্দোলন ছাড়াই সরকার ভেতর থেকে ভেঙে পড়ছে। ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে, মানুষ তার জমা টাকা তুলতে পারছে না। আমেরিকা-ভারত-চীন এই তিন পরাশক্তির সঙ্গে সরকারের গোপন সখ্যতার চিড় ধরতে শুরু করেছে।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মাসুদ জমাদ্দার রানা, এবি পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, আহমেদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুলতানা রাজিয়া, মশিউর রহমান মিলু, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, রুনা হোসাইন, এনামুল হক, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, সাবের চৌধুরী, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএমএইচ আরিফ, পল্টন থানা সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা রনিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।