ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অন্য দেশের সাহায্য নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 

তিনি বলেন, যারা পরনির্ভরশীল অর্থাৎ যাদের শক্তি একটি দেশ, যাদের ভোটের শক্তি জনগণের শক্তি নাই- অর্থাৎ টবের মধ্যে সাজানো ফুলগাছ পানির অভাবে পড়লে গাছটা শুকিয়ে যায়। সুতরাং এই বিদেশি পানি যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে তখন আপনাদের (আওয়ামী লীগ) নিঃশ্বাস স্তব্ধ হয়ে যাবে। তখন আওয়ামী লীগ শব্দটা আর মুখে আনা যাবে না। বিদেশের নির্ভরতায় যারা দেশ পরিচালনা করে আর যাই হোক সরকারে থাকতে পারেন কিন্তু জনগণের হৃদয়ে তাদের স্থান হয় না। জনগণ নিঃসংকোচে তাদের ঘৃণা করে, মাঝে-মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় সরকারের অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সম্মিলিত যুব ফোরামের উদ্যোগে সাবেক সংসদ প্রয়াত নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিরুল ইসলাম আলীম, শাহ নেছারুল হক, আকরামুল হাসান, রফিকুল আলম মজনু, আবদুস সাত্তার, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহীন, সাঈদ হাসান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের জহির উদ্দিন তুহিন, ছাত্রদলের নিয়াজ মাহমুদ নিলয় প্রমুখ। 

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর বলেন, কেন আজকে আপনারা নির্বাচন করছেন? উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ৭ জানুয়ারিকে (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) হার মানিয়েছে। উপজেলা নির্বাচনে কেনো ভোট কেন্দ্রে ভোটার নাই? আমরা তো বাধা দেইনি। কেন যায় না? আওয়ামী লীগের লোক তারাও কেন যায় না? 

তিনি বলেন, কেউ বিশ্বাস করে না ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে। আওয়ামী লীগের যারা ভোট দেয় তাদেরও এই আত্মবিশ্বাস নেই। এ কারণে তারা ভোট দিতে যায় না। অর্থাৎ গণতন্ত্রের যে মূল জায়গাটা, চেতনাবোধটা বা যে আস্থাটা সেই আস্থাটা এই সরকার আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে দিয়েছে। এর ফল আওয়ামী লীগকে ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন গয়েশ্বর।