ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা সুলতানা নিশীতা।
তিনি বলেন, আসরের নামাজে যাওয়ার পথে হিরুকে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি সিদ্ধেশ্বরী মাঠে নিয়ে যায়। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে কোথায় নিয়ে গেছে তা আর তারা জানতে পারেনি।
তার অভিযোগ, গাড়ির ভেতরে সাদা পোশাকে ১২/১৩ জন ছিল, তাদের মধ্যে একজনের গায়ে র্যাবের পোশাক ছিল বলে জানান নিশিতা।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাড়িতে করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাহিদুল হাসান হিরুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনও তার কোন খোঁজ না পাওয়া গভীর উদ্বেগজনক। তাকে এভাবে আটক ও গুম করে রাখা নির্মম মনুষ্যত্বহীনতা এবং ভয়ানক অশুভ সঙ্কেত।
বর্তমান ডামি আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী বিরোধী দল ও মতকে দমন এবং চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনগণ ও বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় পাইয়ে দিতে এখন আরও তীব্র মাত্রায় হিংস্র রুপ ধারণ করেছে। হিরুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই গ্রেফতার করেছে। তাকে আটক ও সন্ধান না দেওয়ার ঘটনায় তার পরিবার-পরিজনসহ দলের নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
রিজভী বলেন, অবিলম্বে মাহিদুল হাসান হিরুকে জনসমক্ষে হাজির করার জোর আহবান জানাচ্ছি। নইলে তাকে নিয়ে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে আওয়ামী সরকারকেই এর দায় নিতে হবে।
এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ রাতে যুগান্তরকে বলেন, এই নামে আমরা কাউকে আটক করিনি।