Logo
Logo
×

রাজনীতি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইস্যুতে যা বললেন মির্জা আব্বাস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইস্যুতে যা বললেন মির্জা আব্বাস

বাংলাদেশের সরকার নয়, ভারত এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমাদের দুটি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। একটা হচ্ছে ভারতীয় সরকার, অপরটি হচ্ছে বাংলাদেশের তাবেদার সরকার। 

তিনি বলেন, একটা দেশে থেকে আরেকটি দেশের সমালোচনা করা উচিত না; তবুও বাধ্য হচ্ছি। আমরা ভারত সরকারের সমালোচনা করছি, সে দেশের জনগণের নয়। আমরা চাই, যে দেশে যে সরকার থাকবে, সেই সরকার অপর দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করবে। সরকারের সঙ্গে সরকারের বন্ধুত্ব নয়। আমরা আশা করব, ভারতীয় সরকার এ দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক করবে। এ দেশের সরকারকে যেন সমর্থন না দেয়। 

রোববার যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত গণফোরাম ও পিপলস পার্টির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ইফতারপূর্ব অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। 

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ সম্পদ নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, সাবেক আইজি’র একটা মাত্র অপকর্ম। এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে আরো এ রকম লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা যারা মানুষের পকেট কেটে নিয়েছে। 

মির্জা আব্বাস বলেন, সোমালিয়া জলদস্যুদের মতো, বর্তমান সরকারের কিছু পেটুয়া বাহিনী আমাদেরকে জিম্মি করে দেশটাকে বরবাদ করে দিয়েছে। শেষ করে দিয়েছে বাংলাদেশকে, স্বাধীনতাকে। 

তিনি বলেন, বর্ডারে (সীমান্তে) মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে যখন পাকিস্তানি ছিল, আমাদের ওপর খুব অত্যাচার হচ্ছিল তখন ভারত এই পূর্ব পাকিস্তানের কোনো লোককে স্পর্শ করতে পারেনি। আবার যখন বাংলাদেশ সময় ছিল, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তখনও বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের গায়ে হাত তুলতে পারেনি। আজকে এমন একটা সরকার আছে, যে সরকারের আমলে আমার দেশের লোককে গুলি করে পাখির মতো হত্যা করা হচ্ছে। 

এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। সরকার দেশ চালাতে পারছে না। বাজার বলি, বিচার, প্রশাসন ও সীমান্ত সমোস্ত ক্ষেত্রে একই অবস্থা। মানুষ তার জীবন জীবিকা, গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার-এমনকি তার মানসম্মান-ইজ্জত কোনো কিছু নিরাপদ নয়। তাহলে বার্তা খুব পরিষ্কার, গত ৭ জানুয়ারি সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল, শ্রেণি-পেশার মানুষ এই সরকারকে যে অনাস্থা দিয়েছে, সেটাকে কর্মসূচি আকারে দাঁড় করাবেন সেটাই চ্যালেঞ্জ। 

এই সরকার বাংলাদেশের বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতকে কিভাবে ধ্বংস করছে, এই অবস্থায় দেশের মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিস্ফোরিত হতে পারে। রাজনৈতিক দল সেখানে নেতৃত্ব দেবেন। এ বছরের মধ্যে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে চাই।

গণফোরামের (একাংশ) সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে ইফতারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণফোরামের এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এনডিএমের ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম