লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে: মির্জা আব্বাস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কী হবে, কী হচ্ছে- এ রকম একটা প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে সারা বাংলাদেশের মানুষের মনে, জল্পনায়-কল্পনায়। এই প্রশ্ন থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। আমাদের মতের ঐক্য হয়েছে। এখন সময়ের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগের একটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। আজকে বিকৃতভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। আমরা যারা দেশকে ভালোবাসি, একাত্তরে যুদ্ধ করেছি, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি তাদের আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।
তিনি বলেন, ইফতার আমাদের একটা ঐতিহ্য। এটা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আজকে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন করেছেন জানি না। সেহরির সময় গরুর গোশত খাওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না এটা কার জন্য করা হয়েছে?
মানুষ নিদারুন অভাবে রয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে অভাব আছে, আবার টাকার দৌরাত্ম্যও আছে। এক শ্রেণির মানুষ অনেক খাবে, আবার আরেক শ্রেণির মানুষ কিছুই খাবে না। এক সময় তারা না বলবে।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বিকল্প নেই।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, আলোকচিত্রী শহীদুল আলম প্রমুখ।
ইফতারে আরও অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজ উদ্দিন নসু, জহির উদ্দিন স্বপন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, নিপুণ রায় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ক্বারী আবু তাহের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, নৈতিক সমাজের আমসা আমিন, এবি পার্টির এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিএমর ববি হাজ্জাজ, বিশিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, আব্দুজ জাহের, জসিম উদ্দিন আকাশ প্রমুখ।
এছাড়াও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।