এবি পার্টির মাসব্যাপী টানা গণইফতার কর্মসূচির ১৬তম দিনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তীব্র ক্ষোভ জানান নেতারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, অনির্বাচিত দখলদার সরকারের অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় দেশ যেন এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে চলছে। 

নেতারা বলেন, এই মৃত্যুর মিছিল আর অভাব জাতিকে ১৯৭২ থেকে ’৭৫-এর কথা মনে করিয়ে দেয়। একটি অনির্বাচিত দখলদার সরকারের চরম অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় চলছে দেশ। 

বিজয়নগরের এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয় একাত্তর চত্বরে আয়োজিত গণইফতারে এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। 

এছাড়া অতিথি ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. ইসমাইল, বাবুল বিশ্বাস, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, মো. আকতার হোসেন, আব্দুর রহমান, মো. কামরুজ্জামানসহ ভাসানী অনুসারী পরিষদের নেতারা। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নানা ছলনায় জনগণকে প্রতারিত করে বারবার ক্ষমতায় আসছে। এবি পার্টিসহ আমরা সব বিরোধী দল এই সরকার পতনের একদফা আন্দোলন করছি। আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই আপনারা এই প্রতারণামূলক নির্বাচনে অংশ নেন নাই। রমজান শেষে আমরা এ পতন আন্দোলনের জোরদার করব ইনশাআল্লাহ। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমাদের গণইফতারে আপনারা যারা উপস্থিত আছেন- যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয় তাদের বুঝতে হবে নিজের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। মানুষের কাছে হাতপাতা সম্মানজনক নয়। দেশের মানুষ চরম সমস্যায় রয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। আমরা দেশ পুনর্গঠনের কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে সবাইকে শামিল হতে হবে। 

ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতা দখল করে দেশের জনগণের টাকা লুট করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এ জালিমের মসনদ ভাঙতে হবে। তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন- আমার দেশের মানুষ কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না। বর্তমান শাসকেরা সমাজে যে বৈষম্য তৈরি করেছে তা ভেঙে বৈষম্যহীন সমাজ আমাদের নতুন করে তৈরি করতে হবে। 

তিনি গণইফতারের মতো মহতী উদ্যোগের জন্য এবি পার্টির নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। 

গণইফতারে উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার ফারুক, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির,  সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহীনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, সদস্য সচিব রনি মোল্লা, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক সিএমএইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।