দেশকে ধর্মীয় সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে: রাশেদ প্রধান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমানদের রমজান ও কুরআনের আলোচনা সভায় পরিকল্পিতভাবে আয়োজকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কারা বাংলাদেশকে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়? দেশবাসী সবাই জানেন এবং বোঝেন! তবে কথাবার্তা পরিষ্কার আর যদি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আঘাত করা হয় তাহলে শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত গণআন্দোলন একটি গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হবে। দেশবাসী প্রস্তুত থাকবেন।
রোববার বিকালে আসাদ গেট জিইউপি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জাগপা আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশের চলমান সংকট মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঘরে ঘরে নীরব হাহাকার শোনা যাচ্ছে। অভাবের কারণে কেউ ইফতার কেউ সেহরি খেতে পারছে না। রমজান মাসে ক্ষুধার্ত রোজাদারদের আর্তনাদ আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে কিন্তু এই জালিম শাহী শেখ হাসিনার বুক কাঁপেনি। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগই দেশ একমাত্র শান্তি ফিরে আসতে পারে। অন্যথায় দেশে রাজনৈতিক সংঘাত এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়বে।
ঢাকা মহানগর জাগপার সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, জাগপা ঢাকা মহানগর নেতা মো. সাজু মিয়া, মনোয়ার হোসেন, মো. আলী ফকির, মো. দিদার হোসেন, যুবনেতা বিপুল সরকার, জনি নন্দী, পাভেন হোসেন, হাসান প্রমুখ।