কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার ছাত্রদল নেতা জামিল হাসান অর্ণবকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। 

শনিবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। এ সময় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা অর্ণব হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। 

নেতারা জানান, শুক্রবার কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এ সময় জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থল অতিক্রমকালে ছাত্রদল নেতা জামিল হাসান অর্ণবকে গুলি করে সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই খুনি, সন্ত্রাসী, নিপীড়ক ও ধর্ষকদের অভয়ারণ্য সংগঠন ছাত্রলীগের নৃশংসতা। ইতোপূর্বেও ছাত্রলীগের এ ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের বলি হতে হয়েছে গর্ভের শিশুকে, নিরাপরাধ পথচারীকে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কিন্তু কোনো কিছুতেই এই সন্ত্রাসীদের উন্মত্ততাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দলকানা প্রশাসন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রমজান মাসে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের রমজানের ফজিলত বিষয়ক আলোচনা, গণইফতারে হামলার মতো ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে চলেছে।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতারসহ বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, অন্যথায় উদ্ভুত যে কোনো পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকেই বহন করতে হবে। 

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াইহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম (সহসভাপতি পদমর্যাদা) এবং প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ (যুগ্ম সাধারণ পদমর্যাদা)। এছাড়া ছাত্রদলের সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।