সরকার ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে: গণসংহতি আন্দোলন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ১০:২১ পিএম
‘সরকার ক্ষমতা হারানোর অজানা আতঙ্কে ভুগছে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। এজন্য জনগণের ওপর জুলুম করছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছে অহরহ। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাড়বে।’
শুক্রবার বিকালে পুরানা পল্টন মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশ করে গণসংহতি আন্দোলন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির দায়ভার জনগণের কাঁধে চাপাতে বর্তমান অবৈধ সরকার আবারো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। লুটপাট, অর্থপাচার ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন গণতন্ত্র মঞ্চের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই পুলিশ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের হামলায় গণতন্ত্র মঞ্চের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘বর্তমান সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে।’
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের লুটপাট-দুর্নীতি-অর্থপাচার ছাড়া আর কোনো দিকে মনোযোগ নেই। বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন। এর আগেও ঢাকায় বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষ মারা গেছেন; কিন্তু জনগণের জীবনের নিরাপত্তায় সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা অবিলম্বে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।’
এ সময় বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের নেতা বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, আলিফ দেওয়ান, মিজানুর রহমান মোল্লা, সেলিমুজ্জামান, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ।