গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবেই: জয়নুল আবদিন ফারুক
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক শক্তির বিজয় হবেই। আর সেইদিনই দেশের গরিব মানুষ পেট ভরে খেতে পারবে। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলতে পারবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আজ (২৫ জানুয়ারি) এমন একটি দিন, ১৯৭৫ সালের যেদিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে সরকারি-বেসরকারি মানুষকে এক দলে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। জাতীয় সংসদে ১১ মিনিটে সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আমরা আজ এ কালো দিবসে দাঁড়িয়ে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই, ৭ জানুয়ারি যে তামাশার নির্বাচন আপনারা (সরকার) মঞ্চস্থ করেছেন, দেশের জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, বরং প্রত্যাখ্যান করেছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন আবারও পঁচাত্তর সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে উলেখ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বাংলার আকাশে আবারও কালো ছায়া দেখতে পাচ্ছি। আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার আভাস মিলছে বলে আমরা মনে করি। তাই আজকে রাজপথে দাঁড়িয়ে আবারও সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, যেসব দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যেসব মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করে, তাদের চলার পথ রুদ্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের আভাস আমরা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, যেই নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে, ঘুম থেকে উঠে বলে ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর এক ঘণ্টা পরে কীভাবে ৪২ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমি জানতে চাই। এর উত্তর আপনাকে (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বাংলার মাটিতে একদিন না একদিন দিতেই হবে।
জয়নুল আবদিন বলেন, টিআইবি বলেছে, দেশের ৬৭ ভাগ সংসদ-সদস্য কোটিপতির উপরে। এই টাকা কোথা থেকে আসে? যেই ডিম তিন টাকা ছিল, সে ডিম এখন ১২ টাকা। যেই মোটা চাল ৪৪ টাকা ছিল, সেই চাল এখন ৬৫ টাকা। এসব সিন্ডিকেট করে তারা টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তৃতা দেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন নসু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষকদলের সহ-সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান, তাঁতীদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকী, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মুসা ফরাজি, কৃষক দল নেতা ওবায়দুল ইসলাম, মনির হোসেন বেপারী, ছাত্রদল নেতা শামীম হাসান, বেলাল হোসেন খান প্রমুখ।