সরকারের লুটপাটের নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী প্রীতি ম্যাচ দেখতে দর্শকও থাকবে না। তাদের ভাগাভাগি ও দেশবিরোধী নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি বলেন, একদিকে নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন চলছে, অপরদিকে নিত্যপণ্যের আগুনে মানুষ পুড়ছে। মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মাফিয়া সরকারের লুটপাটের নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে না।
তিনি আরও বলেন, বিরোধী মতের মানুষ আজ ঘরে ঘুমাতে পারছে না। পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে কার্যত পুরো দেশকে কারাগার বানিয়ে ফেলছে। ৭ তারিখের একতরফা ও পাতানো নির্বাচনে দেশের শান্তিকামী, মুক্তিকামী জনতা ভোট কেন্দ্রে যাবে না। আওয়ামী ডামি নির্বাচনে কেউ ভোট দেবে না। তামাশা দেখার জন্য কেউ রাস্তায়ও বের হবে না।
ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার ভাবছে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে তারা বিনা বাধায় নির্বাচনের নামে প্রহসন করে ফেলবে; কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না। যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে হলেও জনগণ ৭ তারিখের নির্বাচন প্রতিহত করবে। মামলা হামলা আর পুলিশ দিয়ে জনতাকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সরকার ধোঁকাবাজির নির্বাচন করছে। নৌকার প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী সবই আওয়ামী লীগ। এভাবে ডামি নির্বাচন দিয়ে বিশ্ববাসীকে সরকার ধোঁকা দিচ্ছে। নির্বাচন নির্বাচন খেলা বন্ধ করুন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, অধিকাংশ মানুষ সরকারের প্রহসনের নিবৃাচন মানে না, তারা এই নির্বাচন চায় না। আমরাও এই প্রহসনের নির্বাচন চাই না। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূল নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষ ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।
একতরফা প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও অবৈধ পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি ঘোষণা সফলের আহ্বান জানান ইমতিয়াজ আলম।
শুক্রবার বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর শান্তিনগর বাজার মসজিদ গেটে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, মুফতি আব্দুল আহাদ, নাজিমুদ্দিন গাজী, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, মুফতি আখতারুজ্জামান মাহদী ও পল্টন থানা সভাপতি কবির হোসেন খোকন প্রমুখ।