যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা, যা বলল বিএনপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১২ পিএম
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
হবিগঞ্জে যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা অথবা চিকিৎসা একটি সাংবিধানিক অধিকার। সারা পৃথিবীতেই চিকিৎসাসেবা একটি পবিত্র কাজের অংশ। ভয়ংকর সব দাগী আসামিরও সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করার নজির সারাবিশ্বে অসংখ্য। অথচ বিনাদোষে আটক অসংখ্য রাজবন্দী আজ এ ধরনের নূন্যতম মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক জালাল আহমেদ দীর্ঘ তিন মাস কারাগারে বন্দী অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এতে তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয় এবং তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে অত্যন্ত অমানবিকভাবে রাখা হয়।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ইতোপূর্বে যশোর যুবদল নেতা ও শিক্ষক আমানুর রহমান মাধু ও নরসিংদী শহর যুবদলের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ওরফে সুমন চৌধুরীকেও হৃদরোগে আক্রান্ত অবস্থায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে প্রহসন করা হয়। পূর্ণ বিশ্রাম যেখানে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার অন্যতম অংশ সেখানে এ রকম রোগীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে মেঝেতে রেখে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা মধ্যযুগীয় বর্বরতা অথবা নাৎসী বাহিনীর বর্বরতাকেও হার মানায়।
বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে উল্লেখ্য যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হৃদরোগসহ অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত এসব রাজবন্দীর চিকিৎসা পূর্ণাঙ্গভাবে না করে পুনরায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়, ফলে তাদের একই ধরনের সমস্যা নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অথবা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়। এ ধরনের অমানবিক, পাশবিক বর্বরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। একই সঙ্গে অবিলম্বে সকল রাজবন্দীর মুক্তি ও অসুস্থ কারাবন্দীদের সুচিকিৎসার দাবি জানান ডা. রফিকুল ইসলাম।