১৭ ডিসেম্বর কী হয় দেখবেন: মান্নার হুঙ্কার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, ১৭ তারিখ (ডিসেম্বর) কী হয় দেখবেন। ১৭ তারিখের পরও যতই দিন যাক এই সরকারের পতন পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না। এই অবৈধ, একতরফা পাতানো নির্বাচনকে আমরা প্রতিহত করব।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে মোড়ে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আন্দোলন সফল হবে ঘোষণা দিয়ে মান্না বলেন, আন্দোলন হচ্ছে, আন্দোলন চলবে, আরও বড় আকারে আন্দোলন হবে। বাম-ডান যত দল আছে যুগপৎ ভিত্তিতে সবাই মাঠে নামবে এবং এবার দেখবেন আন্দোলনের জোয়ারে এই সরকার ভেসে যাবে।
বাংলাদেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহাসচিব সাইফুল হক বলেন, যদি সরকার সোজা পথে না হাঁটে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পর থেকে রাজপথে বিরোধী দলগুলো এই অবৈধ নির্বাচন, তামাশার নির্বাচন, জালিয়াতির নির্বাচন বন্ধ করার জন্যে লক্ষ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, দলমত নির্বিশেষে সবাই রাজপথে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নেব। বিজয় নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরবে।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটের প্রচার ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের চিঠির তীব্র সমালোচনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার আছে। তারা জনগণকে ভোট না দেওয়ার কথা বলতে পারে। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে যাবে না। এ কথা আমরা বলতেই থাকব। কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ কথা থামানো যাবে না।
রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সমাবেশে জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমাস রিজুও বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের আগে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড় থেকে দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল কালভার্ট রোড ও বিজয়নগর সড়কে মিছিল করেন।
১২ দলীয় জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ অবরোধ কর্মসূচির সমর্ধনে বিজয়নগর ও তোপখানা রোডে মিছিল করে।