কোটি টাকায় বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার গুঞ্জন, মুখ খুললেন সৈয়দ ইবরাহিম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। অথচ তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে সক্রিয় থেকে আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যারা এ সরকারের অধীনে ভোটে যাবে তারা মোনাফেক।
হঠাৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে এক লাফে ভোটে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি গুঞ্জন ওঠে কল্যাণ পার্টির এই নেতা টাকার বিনিময়ে ভোটে গেছেন। এমন গুঞ্জনের জবাবও দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘শাহজাহান-ইব্রাহিম নিজেদের পজিশন বুঝলেন না’
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সৈয়দ ইবরাহিম। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়— অনেকে বলছেন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আপনাকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে?
জবাবে ইবরাহিম বলেন, বাংলাদেশে গুজব ও অনুমাননির্ভর তথ্য ছড়ানো সহজ। টাকা লেনদেনের বড় গুজব ছড়িয়েছে। ৭৫ কোটি, ৪৫ কোটি, ২৫ কোটি, ১০ কোটি। কোটি টাকা যেন গাছের পাতা, টান দিলেই পাওয়া যায়।
জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ১৬ বছর এক প্ল্যাটফরমে ছিলাম, এখন ভিন্ন প্ল্যাটফরমে চেষ্টা করব। কোথাও লিখিত চুক্তি করি নেই যে প্ল্যাটফরম বদল করতে পারব না।
একসময় বলেছিলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে তা হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল। হঠাৎ কোন কারণে ভাবনা বদলালেন?
জবাবে ইবরাহিম বলেন, তখন যে চিন্তা থেকে মূল্যায়ন করেছিলাম, তার আংশিক পরিবর্তন করলাম। যখন দেখলাম, নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন ও সংসদ বন্ধ থাকবে না। তা হলে কেন আনুষ্ঠানিক সুযোগ নেব না? যে কথা বিভিন্ন টকশো, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের নিচে যা বলে এসেছি, তা সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য পাঁচ বছরের মধ্যে চার বছর সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। আমিও সেই সুযোগ নিতে চাই। বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে দাঁড়িয়ে সপ্তাহে চার দিন পাঁচ মিনিট করে বলা আর সংসদে দাঁড়িয়ে বলায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে।