একতরফা নির্বাচন রাজনৈতিক সংকট তীব্র করবে: ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া যেভাবে একতরফা নির্বাচনের দিকে দেশ এগোচ্ছে, তাতে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র করবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন। এ দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত একটি দল। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে দলটি অধ্যাপক বি চৌধুরীর বিকল্পধারা নেত্বাধীন জোটে যায়। এবারও নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার তারা নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেন।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই জাতীয় স্বার্থে চলমান রাজনৈতিক সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি এবং নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তৈরি না করে একতরফা নির্বাচন দেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক মহল বারবার সতর্ক করার পরও নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক না করে একপেশে নির্বাচন করার পথে এগোচ্ছে; যা দেশকে আরও কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে।
তিনি বলেন, সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা থাকলেও যদি রাজনৈতিক এবং নৈতিক বৈধতা না থাকে, তাহলে দেশের জন্য কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব হয় না। নির্বাচনের যে পথরেখা দেখা যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে না। নির্বাচন হলেও হতে পারে, কিন্তু নির্বাচনের বৈধতা ও জবাবদিহির সমস্যার সমাধান হবে না।
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বিষয় নয়। প্রয়োজন এমন একটি নির্বাচন, যার মাধ্যমে সাংবিধানিক বৈধতার সঙ্গে রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতায়ও ফিরে আসবে। শেষ বিচারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া এবং জবাবদিহি প্রতিষ্ঠাই আসল বিষয়। কম-বেশি হলেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে আসতে হবে। মানুষের চেতনার মধ্যে আসতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এর বিকল্প নেই।