৩০০ আসনে আ.লীগ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ রোববার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৪ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ পর্যন্ত চারটি বিভাগে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে৷ আগামীকাল শনিবার সম্ভব না হলে রোববার দলীয়ভাবে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, আজকের সভাতেও কিছু পুরোনো প্রার্থী বাদ গেছে, নতুনরাও মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। একসঙ্গে তিনশ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দুদিন অপেক্ষা করুন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মনোনয়নে বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উইনঅ্যাবল, ইলেক্টঅ্যাবল না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই মনোনয়নে এটা প্রযোজ্য।
রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখন বিএনপি চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা, গাড়ি ভাঙচুর- এসব অপকর্ম করছে। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়েছে এটা সরকারের সাফল্য। এসব চোরাগোপ্তা হামলা করে নির্বাচন পণ্ড, ভণ্ডুল করা সম্ভব নয়। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা যা করেছে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত আর নেই। আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পার্কিং করা গাড়িতে ঘুমন্ত চালককে মারা, হরতাল, অবরোধ- ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। নাশকতার চেয়ে আর কি কঠোর কর্মসূচি আছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এক কথায় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিএনপির এখনো সুযোগ আছে। বিএনপি জোটগতভাবে না এলেও বিএনপির ভেতরের অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শেষপর্যন্ত ছবিটা কোথায় যায় দেখা যাক।
তিনি বলেন,‘নির্বাচন নিয়ে বহিঃশক্তির মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আমাদের মনোযোগ। আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহৎশক্তির দেশগুলোর মন্তব্যে আমরা শরিক হতে চাই না’।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়ক-নায়িকা এমপি। তারা তো সরাসরি দল করে না। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশেও আছে। আর সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবে, জনগণের সেবা করবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় সে দাঁড়াতে পারে।