Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পুলিশ পালাতে সাহায্য করেছে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৯ পিএম

‘ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পুলিশ পালাতে সাহায্য করেছে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। রাজধানীতে তার শাহজাহানপুরের বাসা লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ককটেল দুটি ছোড়া হয়। 

ওই বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেজাউল করিম জানান, একটি মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী এসে বাড়ির ভেতরে দুটি ককটেল ছুড়ে মারেন। একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে। পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

দুপুরে শাহজাহানপুরের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেন, বাসা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপকারী হেলমেট পরা দুজনকে পালিয়ে যেতে পুলিশ সহায়তা করেছে।  

তবে পুলিশ বলছে, আফরোজা আব্বাসের এ অভিযোগ তার রাজনৈতিক বক্তব্য। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এটা তার রাজনৈতিক বক্তব্য। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

আফরোজা আব্বাস বলেন, দারোয়ান বলল, কালো পোশাক ও হেলমেট পরে দুজন হামলা করেছে। তারা একই মোটরসাইকেলে ছিল। বাসার বাইরে পুলিশের তিন থেকে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। হামলাকারীদের ধরার জন্য দারোয়ান পুলিশকে বললে পুলিশ তাদের না ধরে পালিয়ে যেতে সহায়তা করল।

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, এর আগেও বাসায় হামলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ সারা দেশে এমন তাণ্ডব চালিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ হামলার ঘটনায় তিনি দেশবাসীর কাছে, বিশ্ববাসীর কাছে বিচার চান।

সরকারদলীয় লোকজন মির্জা আব্বাসের বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি পুলিশকে বলেছি, ওদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনারা। ওদের সামনে থাকেন আপনারা, পেছনে থাকেন আপনারা। আজকে যারা হামলা করল, তারা অবশ্যই সরকারদলীয় লোকজন। প্রশাসনের সহায়তায় এ হামলা করেছে।

সোমবার সারা রাত বাসার আশপাশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজন ঘোরাঘুরি করেছে বলেও অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। 

তিনি বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে ঘোরাফেরা করেছে। সিসি ক্যামেরা আছে। বাসায়ও আছে, রাস্তায়ও আছে; কিন্তু এটার জন্য হয়তো আমাদের ছেলেদের (ছাত্রদল-যুবদল) দোষারোপ করা হবে।

এ ঘটনায় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কিনা- জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, হামলাকারীদের ধরতে না পারলে, নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তবে তিনি এটাও বলেন, ‘মামলা তো নেয় না। এর আগেও হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি। আদালতও মামলা নেয়নি। এ সরকার থাকলে কোনো দিন ন্যায়বিচার পাব না।’

এদিকে এক বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ককটেল বিস্ফোরণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের পর দেশে শুরু হয়েছে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ড। এরই ধারাবাহিকতায় মির্জা আব্বাসের বাসভবনে আওয়ামী দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ গড়ে তোলা; যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রতিবাদী হতে সাহস না পায়। কিন্তু অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ভুলের স্বর্গে বাস করছে, এ ধরনের সন্ত্রাসের মাধ্যমে চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম