Logo
Logo
×

রাজনীতি

আন্তর্জাতিক মহলের চাপে সরকার এখন দিশেহারা: রিজভী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

আন্তর্জাতিক মহলের চাপে সরকার এখন দিশেহারা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন আয়োজনে উন্মত্ত এখন। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে দিশেহারা হয়ে গেছে। নিজেরাই ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা-ভাঙচুর, সহিংসতা করে পুরোনো কায়দায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। দুঃশাসনে পিষ্ট প্রতিবাদী মানুষকে নিশ্চিহ্ন করতে দলীয় ও রাষ্ট্রশক্তিকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।’ সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী দাবি করেন, ‘২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাড়ির ফটকে হামলা, পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা, পুলিশ হাসপাতালে গাড়িতে আগুনের এসব ঘটনা সরকার নিজেদের এজেন্ট দিয়ে পরিকল্পিত উসকানি তৈরি করে ঘটিয়েছে। জনগণের অবরোধ চলাকালে ফেনীর লালপুলে মহাসড়কে চিনিভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার সদর উপজেলাধীন ধলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নুর উদ্দিন টিপুকে গ্রেফতারে প্রমাণিত হয় অতীতের মতো আওয়ামী লীগ আগুন সন্ত্রাস, নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এত ক্ষমতা, সাহস আত্মম্ভরিতা, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তিনি আঁতকে ওঠেন। বলতে চাই যদি সাহস থাকে সন্ত্রাসীদের মতো খিস্তি-খেউড় আর হুংকার বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ভোটাররাই ফায়সালা করবে।’

রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকার নিশ্চিত ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবারও উদ্ভট, বানোয়াট, আজগুবি মামলার প্লাবন বইয়ে দিচ্ছে। সরকারের মতো পুলিশরাও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। কবরে শায়িত লাশের নামে, ওমরাহ পালনকালে সেই ব্যক্তির নামে, হাসপাতালে শায়িত পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির নামে, প্রবাসীর নামে, কারাবন্দি নেতাদেরও মামলার পাইকারি আসামি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকার টিকে থাকার শেষ চেষ্টা করছে। আইন-আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রীর) হুকুমের দাসে পরিণত হয়েছে। বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক সর্বমহলে সুপরিচিত অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ইন্তেকাল করেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে। এক বছর আগে মারা গেছেন রামপুরা থানার ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির রহমান। 

মাস কয়েক আগে সানাউল্লাহ মিয়ার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে তার পরিবার। অথচ ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ফেরার পথে মৌচাকে পুলিশের ওপর ককটেল ছুড়ে নাশকতা মামলার আসামি হয়েছেন মরহুম সানাউল্লাহ মিয়া। মামলায় ২৪১ জন আসামির মধ্যে তাকে ২২৬ নম্বর আসামি করা হয়। আর মরহুম মো. নাসির রহমানকে এজাহারে ৮৮ নম্বর আসামি দেখানো হয়। মিথ্যা মামলা করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনার দলদাস মামলাবাজ পুলিশ। মামলার তাণ্ডব আর গ্রেফতার বাণিজ্যে অন্ধ হয়ে গেছে প্রশাসন।’ অবিলম্বে ‘মিথ্যা’ মামলা বন্ধের আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

রিজভী আরও বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীর কথাবার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। ‘তুই তোকারি’ আর গালিগালাজ করে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন তিনি। তারেক রহমানের ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব, অভাবনীয় জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতায় গড়ে ওঠা প্রত্যয়-দৃঢ় নেতৃত্বে আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এখন দেশে যে গণ-জাগরণ উঠেছে তার ভিত্তিতে চলছে দুর্বার একদফা আন্দোলন। গণধিকৃত এই নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার পালানোর পথ খুঁজছে। শয়নে জাগরণে তারেক রহমানের ভয়ে অস্থির হয়ে প্রহর গুনছে। আর ভয়ে আতঙ্কে প্রলাপ বকছে, আর্তনাদ করছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মানুষ হত-বিহ্বল ও বোবা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে এমন বক্তব্য কেবল শপথভঙ্গ নয়, আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি। দেশের মানুষ এসব বক্তব্যের বিচার একদিন করবে।’
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম