উত্তরা মহাখালী সদরঘাটে জামায়াতের রেলপথ ও সড়ক অবরোধ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০২ এএম
অবৈধ ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি ও আলেম উলামাদের মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে ঘোষিত তিনদিনের সড়ক, নৌ এবং রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, কামরুল আহসান হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল-তেজগা অঞ্চলের উদ্যোগে সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তেজগাঁও-মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেছে জামায়াতের কর্মীরা।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অবরোধ কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, আলাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা কলিম উল্লাহ, মনির আহমেদ ও ছাত্রনেতা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় ড. রেজাউল করিম বলেন, আজকের অবরোধ বিনা ভোটের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ; আজকের অবরোধ আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেলারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও মহানগরী উত্তর আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করার অবরোধ, আজকের অবরোধ গণমানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অবরোধ, সর্বোপরি দুর্নীতিবাজ, খুনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ জনতার সর্বাত্মক অবরোধ। এই কঠোর অবরোধের মাধ্যমেই ফ্যাসীবাদী, স্বৈরাচারি ও জুলুমবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নৈশ্যভোটের সরকারকে ইতোমধ্যেই লালকার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জোর করে তাদের পক্ষে আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই। তা উপলব্ধি করতে পেরেই গণবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণের ওপর পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ দিয়ে জনতার যৌক্তিক আন্দোলন কোন ভাবেই দমন করা যাবে না বরং বীর জনতা সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।
মহানগরী উত্তর সেক্রেটারি বলেন, আওয়ালীগ সরকার নির্লজ্জ সরকার। তারা একজন বিচারপতিকে দলীয় আখ্যা দিয়ে সারাদেশেই এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে দানবীয় উম্মত্ততাই মেতে উঠেছিল। এখন তারাই আবার নিজেদের দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দিবাস্বপ্নে বিভোর। কিন্তু জনগণ তাদের এই পরিকল্পনা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সরকারকে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় তাদেরকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।