সরকারের ভূমিকা ও চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। রোববার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, শনিবারের সমাবেশ পণ্ড করার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে স্থায়ী কমিটি।
দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সমাবেশ পণ্ড করা থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘটনা সরকারের ছক অনুযায়ী হচ্ছে। এখানে বিএনপি চাইলেও আর শান্তিপূর্ণ পথে কোনো কর্মসূচি করতে পারবে না। আন্দোলন কর্মসূচি এগিয়ে নিতে একটি গাইডলাইন সারা দেশে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, চলমান আন্দোলনে ফলাফল আসবে। কিন্তু তার আগে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সবাই গ্রেফতার হতে পারেন। সেজন্য সম্ভাব্য সব ধরনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে তাও বলা আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সর্বত্র বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।
এদিকে মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে কমিটি করেছে বিএনপি। তারা স্থিরচিত্র, ভিডিও, গণমাধ্যমের খবরসহ নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, এসব ঘটনার দায় সরকার বিএনপির ওপর চাপাতে পারে।
কিন্তু ঘটনাগুলো যাদের বিশ্বাস করানো দরকার, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কারা জড়িত তা দেশের জনগণ ও বিদেশিদেরও জানা দরকার। তাই দলের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু যুগান্তরকে বলেন, ‘শনিবার শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ ছিল। লাখ লাখ নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন না। গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ এসব কারা করেছেন তা স্পষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও বেরিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে প্রকৃত সত্য উদঘাটনে কাজ চলছে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি কমিটি তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা, আইনজীবীরাও আছেন। তারা বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্রসহ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছেন। কাজ শেষ করে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তা উপস্থাপন করা হবে।