অনুমতি ছাড়াই ঢাকায় সমাবেশ করতে পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জমায়েত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত। সকালে জামায়াতের কর্মীরা জড়ো হয় মতিঝিলের অদূরে আরামবাগ মোড়ে। পুলিশ তাদের ঘিরে রাখে। দুপুরের দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই ট্রাকে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ শুরু করে জামায়াত।
এ সময় বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর জামায়াত নেতাদের বক্তব্য পর্ব চলে ঘণ্টাখানেক।
তবে একই দিন কাকরাইলে সংঘর্ষের পর বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হওয়া নিয়ে কোনো বক্তব্যও দেননি জামায়াত নেতারা। কোনো কর্মসূচির ঘোষণাও আসেনি।
দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক দিন পরে মুক্ত আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করতে পারছি। তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা সেই ২৮ অক্টোবরের প্রতিশোধ নিতে চাই। তবে হত্যার বদলে হত্যা নয়। শহিদদের স্বপ্নকে পূরণ করতে চাই। আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আইন চালু করে প্রতিশোধ নেব ইনশাআল্লাহ। কোনো শহিদ ভাইয়ের এক ফোটা রক্তও বৃথা যেতে দেব না।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের বোমা হামলার সামলোচনা করে মুজিবুর বলেন, গোটা বিশ্বে অভিশপ্ত জাতি হচ্ছে ইহুদি। তারা এক সময়ে পালানোর জায়গা পাবে না, মুসলমানরা এক সময়ে বিজয়ী হবে। ইহুদিরা পরাজিত হবে।
দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় না। তাই আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাব না।
সমাবেশ শেষে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল কর্মীদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হল। আপনারা সবাই শাহজাহানপুর দিয়ে চলে যাবেন।
এরপর কর্মীরা শাপলা চত্বরের দিকে না গিয়ে শাহজাহানপুরের উদ্দেশে আরামবাগ ত্যাগ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম মাসুম, নায়েবে আমির সামছুল ইসলাম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আব্দুল হালিম, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আব্দুর রহমান মুসাও।