শমসের-তৈমূরের তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৯ পিএম
শমসের মবিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ছবি: যুগান্তর
শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেওয়ায় বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে উঠে আসে তৃণমূল বিএনপি প্রসঙ্গ।
উপস্থাপকের পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে তৃণমূল বিএনপির এ কমিটিকে কীভাবে দেখছেন?
আরও পড়ুন তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েই দলের প্রধান শমসের, মহাসচিব তৈমূর
প্রশ্নোত্তরে রুমিন ফারহান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে এমনটি নয়, তাকে আগামী নির্বাচন ঘিরে কাকে কাকে বিরোধী দলে রাখতে হবে, কে কোন অবস্থায় থাকবে, কাকে কাকে বিরোধী দলের পদ দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তিনি শুধু আওয়ামী লীগকে নিয়ে ব্যস্ত এমনটি নয়, পাশাপাশি অনেক দলকে দেখভাল করতে হচ্ছে।
ব্যারিস্টার রুমিন আরও বলেন, অনেক দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। যাদের আমরা মাঠে সক্রিয় দেখি। অথচ তারা নিবন্ধন পায়নি। এর মধ্যে হঠাৎ তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন হয়ে গেল। কেন হলো? এ হিসাব মেলাতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপির দায়িত্ব নিয়েছেন।
তাদের সম্পর্কে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, দুজনেরই রাজনৈতিক জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞা অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। উনাদের নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করতে চাই না। সে যোগ্যতাও আমি রাখি না। সুতরাং তাদের নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।
বিশেষ করে তৈমূর আলম স্যার তো আমার কোর্টেও সিনিয়র। পাশাপাশি তিনি একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। জুনিয়র হিসেবে আমাদের যথেষ্ট স্নেহ করেছেন। উনাকে আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলার নেই।
তবে ইতিহাস একটা কথা বলে— দল যখন দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকে, তখন অনেকে দল ছেড়ে দেয় অথবা ক্ষমতায় থাকাবস্থায়ও ছেড়ে দেয়। যেমন বদরুদ্দোজা চৌধুরীও দল ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিণতিটা কী হয়?
রুমিন ফারহানা অতীতের দৃষ্টান্ত সামনে এনে বলেন, আমরা যদি দেখি, বি চৌধুরী, কর্নেল অলি, এরও আগে দল ছেড়েছিলেন কেএম ওবায়দুর রহমান। তাতে কি মূল দলগুলোর কখনো ক্ষতি হয়েছে। এতে বিএনপির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তবে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যে কোনো দলের প্রতি শুভ কামনা থাকে। তেমনি তৃণমূল বিএনপির প্রতিও শুভ কামনা থাকবে। তবে এমন হঠাৎ উদ্যোগ নিয়ে বিএনপির ক্ষতি করা যাবে বলে আমি মনে করি না।