Logo
Logo
×

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সোমবার এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে রোববার রাতে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। তাকে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানালেন চিকিৎসক।

সোমবার ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে রোববার রাত সাড়ে ১১টায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে তাকে সিসিইউতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতরাতে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।পরে মেডিকেল বোর্ড তাকে দ্রুত সিসিইউতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।আজ সকালে তাকে আবার কেবিনে নেওয়া হয়।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সবশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে উন্নত চিকিৎসা দরকার। ডাক্তাররা বলেছেন— দেশে সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। আমরা অনেক দিন ধরেই তাকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলছি। কিন্তু সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। 
খালেদা জিয়ার অবস্থা গুরুতর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন একেবারে শেষ সময় চলে এসেছে। অনতিবিলম্বে বিদেশে নেওয়া দরকার, না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। যদিও সিসিইউ থেকে তাকে কিছুক্ষণ আগে কেবিনে আনা হয়েছে। এতে স্বস্তির কোনো কারণ নেই, এটিকে স্থিতিশীলও বলা যাবে না। তার শারীরিক অবস্থা ওঠানামা করছে। 
গত রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হয় খালেদা জিয়ার। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কেবিন থেকে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। সোমবার বেলা ১১টার পর তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। 
৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া।
এর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১০ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। হার্টের দুটি ব্লক এখনো রয়ে গেছে।

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। গত বছরের ২২ আগস্টও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর ২৮ আগস্ট ফের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করানো হয়। দুদিন হাসপাতালে থাকার পর ৩১ আগস্ট বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম