‘সেলফিকে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা নিম্নমানের কূটকৌশল’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের অভিযোগ উত্থাপন এবং সেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরকারপ্রধানের সেলফি তোলার ‘অগ্রাধিকার’ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বিপর্যয়কর অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রব বলেন, সরকারপ্রধান বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় বলে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরপর কখনো পার্লামেন্টের ভেতর, কখনো বাইরে ধারাবাহিকভাবে নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করতে থাকেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বও যে হুমকিস্বরূপ তারও বর্ণনা দেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টমার্টিন চাওয়া এবং সেখানে নৌঘাঁটি স্থাপন করে আশপাশের দেশগুলোতে তার আধিপত্য বিস্তারের মতো আশঙ্কাও সরকারপ্রধান ব্যক্ত করেন।
‘সরকারের আক্রমণাত্মক বক্তব্যে মনে হয়- বর্তমান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক কূটনীতির বাইরে গিয়ে এক সংঘাতপূর্ণ কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করেছে’।
জেএসডি সভাপতি আরও বলেন, জি-২ সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রিত হলে সরকারপ্রধান তার বোন ও কন্যাসহ অন্যদের নিয়ে উপস্থিত হন। সম্মেলনের একপর্যায়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতি আগ্রহ ও সুপারিশে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যার সঙ্গে একটি সেলফি তুলেন। এ ধরনের সৌজন্যমূলক একটা সেলফির বিষয়কে কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা অতি নিম্নমানের কূটকৌশল। এছাড়া মানুষ হিসেবে শেখ হাসিনার মর্যাদাও এতে ক্ষুণ্ন হয়েছে।
সরকারের অদক্ষতা এবং ভারসাম্যহীন পররাষ্ট্রনীতি রাষ্ট্রকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের পদত্যাগই এ বিপর্যয়ের একমাত্র সমাধান নিশ্চিত করতে পারে বলে মনে করেন রব।