ফাইল ছবি
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দাবি করেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় অভিযুক্ত রমনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের মা-বাবা বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন হারুন।
সোমবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এডিসি হারুনকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি। এতে তিনি এ দাবি করেন।
গোলাম রাব্বানী বলেন, হারুন সাহেবের পিতা আশাশুনি উপজেলার মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জামাল উদ্দিন ও মাতা শেফালী বেগম উভয়ই জামায়াত সমর্থক। নানা মৃত বাবর আলী সানা একজন মুসলিম লীগার ও সক্রিয় জামায়াত নেতা ছিলেন। মামা- হুমায়ুন কবির ও মিলন বিএনপির সক্রিয় কর্মী। এছাড়া বাবা ও মায়ের পরিবারের সব সদস্য বিএনপি-জামায়াত সমর্থক।
রাব্বানী বলেন, হারুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর জিয়া হল ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাকের রুমমেট ছিলেন (কক্ষ নং-৩১০) এবং তার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে জিয়া হলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে ছাত্রলীগের তকমা লাগান।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি একজন অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নিজের আখের গোছানোসহ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি বিনষ্টে গোপনে কাজ পরিচালনা করছেন বলে স্পষ্ট প্রতীয়মান।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত-বিএনপি পরিবারে একজন সদস্য ও ছাত্রদল কর্মী কিভাবে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়িত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো, পাশবিক নির্যাতনসহ সরকারকে বিব্রত ও বেকায়দায় ফেলতে ক্রমাগত বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন, তা নিয়ে স্থানীয় ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ-হতাশা বিরাজমান!
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি হারুন অর রশিদকে এপিবিএনে বদলি করা হয়েছে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়। এর আগে সকালে রমনা বিভাগ থেকে এডিসি হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়।