‘ব্রিকস সম্মেলনে প্রমাণ হয়েছে ভারতও আ.লীগের বন্ধু নয়’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৮ পিএম
ছবি-যুগান্তর
আওয়ামী লীগের কোনো বন্ধু নাই মন্তব্য করে লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আমরা জানতাম ভারত আওয়ামী লীগের বন্ধু। কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে ভারতও তাদের বন্ধু নয়। ছয়টি দেশকে নতুন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু বাংলাদেশকে সদস্য পদ দেওয়া হয়নি। ভারত তাদের পাশে নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হামলা-মামলা নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে কালোপতাকা মিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ভারতে গিয়েছেন। ভারতে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সভাপতির সঙ্গে চেষ্টা করেও দেখা করতে পারেননি। আমরা এরপর দেখেছি জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের ভারত থেকে ফিরে এসে বলেছেন ভারত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে বলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হবে না। আমি বলি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হবে। সংলাপ তখনই হবে যখন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ঘোষণা দেবেন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তখন আলোচনা হবে কিভাবে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন হবে।
মহানগর সভাপতি এসএম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ রুমান সিকদার, মো. শওকত হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম মামুন ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
কালোপতাকা মিছিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- জনতা অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দলোনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে তোপখানা রোড, সচিবালয়. পল্টন মোড়, বায়তুল মোকাররম হয়ে পুরানা পল্টন গিয়ে শেষ হয়।