সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ জড়ো হচ্ছেন নেতাকর্মীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৩, ১১:৫০ এএম
বিএনপির তিন সংগঠনের উদ্যোগে আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। সমাবেশে অংশ নিতে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন। এ সমাবেশ থেকে এক দফা দাবিতে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে দেখা যায়, রাজধানীর ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর অসংখ্য নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং এর আশপাশে জড়ো হয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকার লোকারণ্য হয়ে গেছে। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
'তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, রাজপথে বিজয় হোক’ স্লোগানে আজ রাজধানীতে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ২টায় শুরু হবে এ সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগের সমন্বয়ে আজকের সমাবেশ। এতে সমাবেশে চাকরিবঞ্চিত, গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্য, ভোট না দিতে না পারা তরুণ-তরুণীসহ এই সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত কয়েকজনের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা তরুণদের নগরীতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কারণে চার কোটি ৭০ লাখের বেশি নতুন ভোটার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাদের অধিকারের জন্য আমরা মাঠে নেমেছি। সেসব মেধাবী তরুণের পক্ষে মাঠে নেমেছি, যাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু দলীয় বিবেচনায়, আওয়ামী লীগ না করার কারণে চাকরির ভেরিফিকেশনে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ভোট দিতে পারে না, চাকরির ক্ষেত্রে যেসব তরুণের মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না-এমন তরুণদের সবাই সমাবেশে অংশ নেবে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেন, ঢাকার তারুণ্যের সমাবেশে নতুন জাগরণ ও গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। তারুণ্যের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তরুণদের নিয়ে রাজপথে ফ্যাসিবাদী সরকারকে রুখে দেব।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ‘ভোটাধিকারবঞ্চিত তরুণ তথা ন্যায়সংগত অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে তারুণ্যের সমাবেশ ডেকেছি। এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণ সমাজকে জাগ্রত করতে পেরেছি। আশা করি ঢাকায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে।’
গত মাসে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম তারণ্যের সমাবেশ শুরু হয়। এরপর বগুড়া, বরিশাল, সিলেট, খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।